শেষ ষোলোতে যেতে জয়ের বিকল্প ছিল না দক্ষিণ কোরিয়া। এদিন রোনালদোর পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিতও করেছে এশিয়ার দেশটি। অন্য ম্যাচে উরুগুয়ে ঘানাকে ২-০ গোলে হারালেও ছিটকে গেছেন লুইস সুরায়েজরা। এইচ গ্রুপ থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ ষোলোতে উঠেছে পর্তুগাল। রানারআপ হয়ে নকআউটে গেলো দক্ষিণ কোরিয়াও।
এদিন ম্যাচের ৫ মিনিটেই এগিয়ে যায় পর্তুগাল। তবে ম্যাচের ২৮ মিনিটে গোল করে ম্যাচে সমতায় আনে দক্ষিণ কোরিয়া। শেষ পর্যন্ত আর কোনও গোল না হলে ১-১ গোলের সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দুদল। ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত সময়ে (৯২ মিনিট) করা গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দক্ষিণ কোরিয়া।
শুক্রবার কাতারের আই রাইয়ান স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতেই গোলের দেখা পায় পর্তুগাল। মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো বলে ডান দিকে থেকে বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে পাস দেন ডিওগো ডালোট। তার পাস থেকে বল জালে জড়ান রিকার্ডো হোর্টা। ম্যাচের ১৪ মিনিটে বাম দিক থেকে বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে শট করেন আন্তোনিও সিলভা। তবে তা রুখে দেন দক্ষিণ কোরিয়ের গোলরক্ষক কিম সেংগিউ।
অন্যদিকে পাল্টা আক্রমণে যায় দক্ষিণ কোরিয়া। ম্যাচের ১৬ মিনিটে পর্তুগালের জালে বল জড়ান কিম জিনসু। তবে তা অফ সাইডের কারণে বাতিল হয়। এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলতে থাকে দু’দল। ম্যাচের ২৮ মিনিটে কর্নার থেকে গোল শোধ করে দক্ষিণ কোরিয়া। কর্নার থেকে ভেসে আসা বল পেয়ে জালে জড়ান কিম ইয়ং-গওন। তার গোলে ম্যাচে সমতায় ফেরে দক্ষিণ কোরিয়া।
১-১ গোলে সমতায় থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে পর্তুগাল ও দক্ষিণ কোরিয়া।
বিরতি থেকে ফিরেই গোলের আশায় মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে পর্তুগাল। বেশ কিছু আক্রমণ করে তারা। তবে গোল পেতে ব্যর্থ হয়।
ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে গোলের দেখা পায় দক্ষিণ কোরিয়া। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল পেয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে ডিফেন্স চেড়া পাস দেন সন হিউন মিন। তার পাস থেকে বল পেয়ে প্লেসিং শটে বল জালে জড়ান বদলি নামা হোয়াং হি-চ্যান।
এরপর পিছিয়ে পড়ে গোলের জন্য চেষ্টা চালায় পর্তুগাল। তবে আর কোনও গোল না হলে ২-১ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দক্ষিণ কোরিয়া।