ইউক্রেনের বিদ্যুৎ স্থাপনায় রাশিয়ার হামলার পর শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে বাসা গরম করার সময় দেশটিতে আগুনে পুড়ে অন্তত ৯ জন মারা গেছেন। সুরক্ষা বিধি লঙ্ঘন করে ঘর গরমের চেষ্টার সময় গত ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বলে বুধবার ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় জরুরি পরিষেবা সংস্থা।
সংস্থাটি বলেছে, ইউক্রেনীয়রা ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে তাদের বাড়িতে জরুরি জেনারেটর, মোমবাতি এবং গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন। যে কারণে দেশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, কেবল গত ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনে ১৩১টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১০৬টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আবাসিক এলাকায় রেকর্ড করা হয়েছে। এতে ৯ জন মারা গেছেন এবং দগ্ধ হয়েছেন আরও ৮ জন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাসা-বাড়ির বারান্দায় জেনারেটর, বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার, মোমবাতি জ্বালানো… অগ্নি নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘন করে যেনতেন পণ্যের ব্যবহার করার কারণে বহুতল ও আবাসিক ভবনে আগুন এবং বিস্ফোরণের ঘটনা আরও ঘন ঘন হয়ে উঠেছে।
ইউক্রেনীয়দের বাড়িতে আরও যত্নশীল হওয়ার এবং শিশুদের কাছে আগুনের ঝুঁকি ব্যাখ্যা করার আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। গত সপ্তাহে ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জ্বালানি স্থাপনা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই হামলার এক সপ্তাহ পরও ইউক্রেনে বিদ্যুৎ সরবরাহ এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়নি।
ইউক্রেনের জাতীয় পাওয়ার গ্রিড অপারেটর ইউক্রেনেগ্রো বলেছে, মঙ্গলবার সকালের দিকে দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি ৩০ শতাংশ থাকলেও বুধবার সকালে তা কমে ২৭ শতাংশ হয়েছে।
শীত মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে ইউক্রেনে বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসকারীরা বলেছেন, রাজধানী কিয়েভের তাপমাত্রা রাতারাতি মাইনাস ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (২১ ডিগ্রি ফারেনহাইট) নেমে যাবে এবং দ্রুতই তা আরও কমবে।
সূত্র: রয়টার্স।