তিউনেশিয়ার নাটকীয় জয়। গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জিতলেও শেষ ষোলোর যোগ্যতা অর্জন করতে পারলো না আফ্রিকার দেশটি। কারণ গ্রুপের অন্য ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছে ডেনমার্ককে।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স প্রথমেই দুটো ম্যাচ জিতে শেষ ষোলোয় পৌঁছে গিয়েছিল। দলে নয় পরিবর্তন এনে রিজার্ভ বেঞ্চ দেখে নিতে চেয়েছিলেন দিদিয়ের দেশম। কিন্তু এই ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল গ্রুপ ডি-র দ্বিতীয় দল হিসেবে কারা যাবে তা ঠিক করার ক্ষেত্রে। কারণ এই গ্রুপের পরের পর্বে যাওয়ার অঙ্ক ছিল বেশ জটিল। তিউনেশিয়া দুই পয়েন্ট নিয়ে খেলতে নেমেছিল। এই অবস্থায় ফ্রান্সের বিরুদ্ধে জয় পেতেই হতো তাদের। পাশাপাশি তাদের ভাগ্য নির্ভর করছিল অস্ট্রেলিয়া ডেনমার্ক ম্যাচের ওপরও।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ করে ফরাসি রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছিল স্লিমানে, ওহাবি খাজরিরা। প্রথমার্ধে অফসাইডের কারণে গোল বাতিল না হলে তিউনেশিয়া আগেই এগিয়ে যেতে পারতো। শেষ পর্যন্ত ৫৮ মিনিটে খাজরির গোলে এগিয়ে যায় তিউনেশিয়া। পিছিয়ে পড়ে দেশম মঠে নামান এমবাপ্পে, গ্রিজম্যান, ডেম্বেলেকে। কিন্তু তাতেও ম্যাচের রাশ নিতে পারেনি ফ্রান্স।
বরং আক্রমণ এবং রক্ষণের ভারসাম্য রেখে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ব্যাকফুটেই রেখে দিয়েছিল তিউনেশিয়া। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে গ্রিজম্যানের গোল বাতিল হওয়ায় হার বাঁচাতে ব্যর্থ হয় ফ্রান্স।
তাতেও পরের রাউন্ডে যাওয়া হলো না তিউনেশিয়ার। অন্য খেলায় ডেনমার্ককে ১-০ গোলে হারিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া।
ফলে ডি গ্রুপের সব খেলা শেষে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় ফ্রান্স। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল গড়ে পিছিয়ে থাকায় রানারআপ হয় অস্ট্রেলিয়া। আর ফ্রান্সের বিরুদ্ধে জয়ের পরও ৪ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলো তিউনেশিয়া।