কাতার বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে যেতে হলে সেনেগালের সামনে জয়ের বিকল্প ছিল না। পক্ষান্তরে, শেষ ষোলোর টিকিট পেতেই শুধুমাত্র হার এড়ানোই ছিল ইকুয়েডরের জন্য যথেষ্ট। গ্রুপপর্বের বাধা পেরোতে সেনেগালের সামনে রাস্তাটা কঠিন থাকলেও ইকুয়েডরকে ২-১ গোলে হারিয়ে এ গ্রুপের রানারআপ হিসেবে শেষ ষোলোয় পা রেখেছে অলিও সিসের শিষ্যরা।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) কাতারের স্টেডিয়ামে ইকুয়েডরের বিপক্ষে শুরু থেকেই গোলের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে সেনেগাল। ফলশ্রুতিতে প্রথমার্ধেই গোলের জন্য ১২ শট নেয় সেনেগাল। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় আফ্রিকান দেশটি। কিন্তু ইদ্রিস গায়ার লক্ষ্যভ্রষ্ট শট চলে যায় গোলবারের বাইরে দিয়ে।
৯ মিনিট আবারও গোলের দেখা পেয়ে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিল সেনেগাল। কিন্তু এনদাইয়ের বাঁকানো শট ইকুয়েডর গোলরক্ষক হার্নান গালিন্দেজকে ফাঁকি দিতে পারলেও এড়াতে পারেনি গোলবারের বাধা। সেনেগালের আক্রমণের ধারায় কোণঠাসা হলেও ইকুয়েডর কোনোরকমভাবে গোলবার অক্ষত রেখেছিল দক্ষিণ আমেরিকান দলটি।
প্রথমার্ধ যখন গোলশূন্যভাবে শেষ হবে বলে মনে হচ্ছে, তখনই ম্যাচের ৪২ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর সেনেগালের ইসমাইলা সারকে অবৈধভাবে বাধা দেন ইকুয়েডরের রাইটব্যাক অ্যাঞ্জেলো প্রিসেইদো। স্পটকিক থেকে ইসমাইল সারের লক্ষ্যভেদ করতে ভুল না হওয়ায় ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে মধ্যবিরতিতে যায় সেনেগাল।
ম্যাচের ৫৮ মিনিটে সমতায় ফেরার ভালো সুযোগ এসেছিল ইকুয়েডরের সামনে। তবে লেফটব্যাক পারভিস ইস্তুপিয়ানের ক্রস থেকে মাইকেল এস্ত্রাদা মাথা ছোঁয়ালেও তা পোস্টের বাইরে চলে যায়। অবশেষে আক্রমণে ধার বাড়িয়ে ইকুয়েডর সমতা ফেরায় ৬৬ মিনিটে। মোইসেস কাইসেদোর গোলে ম্যাচে ফিরে নকআউট পর্বের আশা জিইয়ে রাখে তারা।
কিন্তু সেই আশার স্থায়িত্ব হলো মাত্র তিন মিনিট। ৭০ মিনিটে অধিনায়ক কালিদু কুলিবালির দারুণ এক ভলিতে আবার এগিয়ে যায় সেনেগাল। এরপর ইকুয়েডর ম্যাচে ফেরার প্রাণান্ত চেষ্টা করলেও সমতাসূচক গোলের দেখা আর পায়নি। ফলে.২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আফ্রিকান দলটি।
এই হারের কারণে প্রথম ম্যাচে কাতারের বিপক্ষে জয় আর পরের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে রুখে দেওয়ার পরও কাতার বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় ইকুয়েডর। অন্যদিকে, প্রথম ম্যাচে ডাচদের কাছে হেরেও টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সাদিও মানেকে ছাড়াই দুই দশক পর নকআউট পর্বের টিকিট পায় সেনেগালিজরা।