নয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধে দেড় হাজারেরও বেশি সামরিক কর্মকর্তাকে হারিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। নিহত কর্মকর্তাদের মধ্যে রুশ সামরিক বাহিনীর ১৬০ জেনারেলও রয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, উন্মুক্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে রুশ সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রাণহানির এই তথ্য তৈরি করা হয়েছে। যেখানে মূলত সোশ্যাল মিডিয়া ও সর্বজনীনভাবে-প্রাপ্ত অন্যান্য তথ্যকে একত্রিত করা হয়েছে।
এছাড়া রুশ সেনা কর্মকর্তাদের প্রাণহানির এই সংখ্যাটি কিলডইনইউক্রেন (KilledInUkraine) নামক একটি টুইটার হ্যান্ডেলে সংকলিত হয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টে ইউক্রেনে রুশ সেনাদের হতাহতদের বিষয়ে প্রকাশিত রাশিয়ান নিবন্ধগুলো পোস্ট করা হয়ে থাকে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু পর রাশিয়া এখনও পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অবকাঠামোগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া।
যার ফলে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ গ্রিড ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে এবং লাখ লাখ মানুষের বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহের কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট বলছে, চলমান এই যুদ্ধে রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং নিহতদের মধ্যে রাশিয়ার ১৬০ জন জেনারেল ও কর্নেল রয়েছে।
অবশ্য নভেম্বর মাসের শুরুতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর শীর্ষ জেনারেল মার্ক মিলি বলেছিলেন, ইউক্রেনে ১ লাখেরও বেশি রাশিয়ান সামরিক কর্মী নিহত বা আহত হয়েছেন। কিয়েভের বাহিনীও সম্ভবত একই রকম হতাহতের শিকার হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
জেনারেল মিলি আরও বলেছিলেন, যুদ্ধের সমাপ্তি নিয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে এবং রাশিয়া বা ইউক্রেনের পক্ষে সামরিক বিজয় অর্জন করা সম্ভব নাও হতে পারে।
মিলির ভাষায়, ‘একটি পারস্পরিক স্বীকৃতি থাকতে হবে যে সামরিক বিজয় সম্ভবত প্রকৃত অর্থে সামরিক উপায়ে অর্জন করা যায় না, এবং সেইজন্য আপনাকে অন্য উপায়ে ফিরে যেতে হবে।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউক্রেনীয়দেরকে আরও হামলার শিকার হওয়ার পাশাপাশি নিষ্ঠুর ঠান্ডা ও বিদ্যুৎহীন সপ্তাহ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, মস্কোর ক্ষেপণাস্ত্র শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনীয় অবকাঠামোতে রাশিয়ার আক্রমণ বন্ধ হবে না।