বিশ্বকে তেহরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বান খামেনির ভাতিজির

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন

তেহরানে বর্তমান শাসকগোষ্ঠীকে নিপীড়ক আখ্যা দিয়ে দেশটির সঙ্গে পুরো বিশ্বকে সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনির ভাতিজি ফারিদা মোরাদখানি।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) এক ভিডিও বার্তায় এ আহ্বান জানান তিনি।

ফারিদা মোরাদখানি আয়াতুল্লা আলী খামেনির ভাই বাদরি খামেনির মেয়ে। তার বাবা ইসলামী বিপ্লবের প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির বিরোধী ছিলেন। ১৯৮৫ সালে বাদরি ও তার সন্তানরা ইরান থেকে ইরাকে চলে যান।

ভিডিও বার্তায় মোরাদখানি বলেন, “মানুষের স্বাধীনতার অধিকার রয়েছে। এজন্য এই সরকার ও শাসনব্যবস্থাকে সমর্থন করা বন্ধ করতে হবে। তারা খুনি ও শিশু-হত্যাকারী। এই শাসনব্যবস্থা তার কোনো ধর্মীয় নীতির প্রতি অনুগত নয়। বলপ্রয়োগ ও ক্ষমতা বজায় রাখা ছাড়া কোনো নিয়ম জানে না।”

- বিজ্ঞাপন -

ফারিদেহকে এই বছরের শুরুতে ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় গ্রেপ্তার করেছিল। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। গত ২৩ নভেম্বর মাহমুদ মোরাদখানি তার বোনের গ্রেপ্তারের কথা জানান।

টেলিগ্রাফের তথ্য অনুসারে, খামেনির ভাতিজি গ্রেফতারের সম্ভাব্য কারণ হলো- তিনি একটি নির্যাতিত পরিবারের পক্ষে অবস্থা নিয়েছিলেন। গত অক্টোবরে তিনি প্রকাশ্যে পালাভি নামক একটি পরিবারকে সমর্থন জানিয়েছেন। পরিবারটি ১৯৭৯ সালে ইসলামিক বিপ্লবের নির্মমতার শিকার হয়েছিল।

তবে এ বিষয়ে খামেনির মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পায়নি রয়টার্স।

এ বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানের নীতি পুলিশের হেফাজতে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুতে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল, তা এখন জাতীয় আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে “মোল্লাতান্ত্রিক” শাসনের বিরুদ্ধে এটিই সবচেয়ে বড় আন্দোলন।

নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা “ইরান হিউম্যান রাইটস” (আইএইচআর) জানিয়েছে, ইরানে দেশব্যাপী নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ৪১৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ৫১ জন শিশু এবং ২১ জন নারী রয়েছেন। গত সপ্তাহে ৭২ জন নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ৫৬ জন পশ্চিম কুর্দি-জনবসতিপূর্ণ এলাকার।

- বিজ্ঞাপন -

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেছেন, ইরানের পরিস্থিতি খুবই “গুরুতর”। বিক্ষোভকারীদের ওপর কর্তৃপক্ষের কঠোর দমনাভিযানের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে গত দুমাসের বিক্ষোভে ৩০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

আন্দোলনে ইসলামী প্রজাতন্ত্রের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে বিক্ষোভকারীরা খামেনির ছবি পুড়িয়েছে ও ইরানের শিয়া মুসলিম ধর্মতন্ত্রের পতনের আহ্বান জানিয়েছে।
(সূত্র: রয়টার্স)

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

বিষয়:
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!