বিশ্বকাপের ঠিক আগে দলের সেরা তারকা সাদিও মানেকে হারানো পরও প্রথম ম্যাচে ভালো খেলেছে সেনেগাল। তবে শেষ মুহূর্তের দুই গোলে আশাভঙ্গ হয়েছে আফ্রিকান চ্যাম্পিয়নদের। দেয়ালে ঠিক ঠেকে গেলেও ঘুরে দাঁড়াতে খুব একটা সময় নেয়নি আলিউ সিসের শিষ্যরা। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক কাতারকে হারিয়ে শেষ ষোলর আশা বাঁচিয়ে রাখল দলটি।
দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে শুক্রবার কাতারকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে সেনেগাল। স্বাগতিক কাতারের হয়ে বিশ্বকাপে প্রথম গোল করেন মোহাম্মেদ মুনতারি।
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইকুয়েডরের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছে কাতার। এবার সেনেগালের কাছে হারায় টানা গ্রুপ পর্ব থেকে স্বাগতিকদের বিদায় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেল। অন্যদিকে ইকুয়েডর ও নেদারল্যান্ডসের সমান তিন পয়েন্ট থাকলেও গোল ব্যবধানের কারণে তিন নম্বরে আছে সেনেগাল।
শুরুর দিকে খেলা হয়েছে ম্যাড়মেড়ে। দুদলই কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ১৬তম ও ২৪তম মিনিটে দুটো হাফ চান্স হারায় সেনেগাল।
পুরো ম্যাচেই বল ক্লিয়ারেন্স নিয়ে ব্যাপক সমস্যা ছিল কাতার রক্ষণে। স্বাগতিক ডিফেন্ডার বারশামের ভুলে ৩০তম মিনিট একবার বিপদে পড়তে গিয়েও বেঁচে যায় তারা। তবে ১১ মিনিটের ব্যবধানে সেই ভুলই আবার করলে গোল হজম করতে হয় কাতারকে। সেনেগালের দিয়াতার শটে বক্সে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান ডিফেন্ডার বুয়ালেম খুউখি। আলগা বল পেয়ে ডান পায়ের শটে জালে পাঠান বোলায়ে দিয়া।
প্রথমার্ধে একটি সুযোগ পেয়েছিল কাতারও। কিন্তু সেটা কাজে লাগাতে পারেননি আকরাম আফিফ। সেনেগালের ইসমাইলা সারের বাধায় পড়ে যান তিনি। পেনাল্টির আবেদন করলেও সাড়া দেননি রেফারি। ১-০ গোলে শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে সেনেগাল। ইসমাইল জেকবসের কর্নারে দারুণ হেডে গোলটি করেন ফরোয়ার্ড ফামাহা ডিডিউ।
৭৮তম মিনিটে মোহাম্মেদ মুনতারির গোলে ব্যবধান কমায় কাতার। কিন্তু আশা জাগিয়েও খেলায় ফিরতে পারেনি স্বাগতিকরা। কারণ ৮৪তম মিনিটে বাম্বা দিয়েংয়ের গোলে জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলে সেনেগাল। বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আফ্রিকান চ্যাম্পিয়নরা।