বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের অনেকেই নেই স্পেনের স্কোয়াডে। তবুও খেই হারালো না তরুণ দলটা। প্রথম ম্যাচেই কোস্টারিকাকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ মিশনের শুভ সূচনা করল লুই এনরিকের শিষ্যরা।
বুধবার রাতে কাতারের আল থুমামা স্টেডিয়ামে কোস্টারিকাকে ৭-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে স্প্যানিশরা। কোস্টারিকাকে গোলবন্যায় ভাসানোর দিনে স্কোরশিটে নাম লিখিয়েছেন স্পেনের ৬ ফুটবলার। বার্সেলোনা স্ট্রাইকার ফেররান তোরেস জালের দেখা পেয়েছেন দুইবার, বাকি পাঁচজন জালে বল ছুইয়েছেন একবার করে।
স্পেনের বিশ্বকাপ ইতিহাসে এখন পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে বড় জয়। এর আগের রেকর্ডটা ১৯৯৮ সালের। সেবার বুলগেরিয়াকে ৬-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল দলটি। তরেস-গাভিদের এমন অপ্রতিরোধ্য জয়ে ‘ই’ গ্রুপের শীর্ষে এখন স্পেন। সমান ৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে জাপান। বুধবার দিনের আরেক খেলায় জার্মানিকে হারিয়েছে তারা।
অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ কোস্টারিকার বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে স্পেন। পঞ্চম মিনিটে ভালো সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি ওলমো। নবম মিনিটে আবারও সুযোগ আসে স্পেনের। কিন্তু এবার আসেনসিওর শট বেরিয়ে যায় বার ঘেঁষে।
তবে গোল পেতে বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি স্পেনকে। ১১ তম মিনিটে লুই এনরিকের দলকে লিড এনে দেন ওলমো। দ্বিতীয় গোল এসেছে ১০ মিনিটের ব্যবধানে। জর্দি আলাবার দুর্দান্ত পাসে ডি-বক্সের মধ্যে বল পেয়ে যান আসেনসিও। রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ডের জোরালো শট হাত ছোঁয়ালেও জালে যাওয়া ঠেকাতে পারেননি কোস্টা রিকা গোলরক্ষক।
৩১তম মিনিটে আলবাকে ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়ে যায় স্পেন। স্পটকিক থকে গোল করতে ভুল করেননি তরেস। ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে স্পেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবারও ব্যবধান বাড়ান তরেস। সতীর্থের কাছ থেকে ডি-বক্সে বল পেয়ে শট নিয়েছিলেন তরুণ ফরোয়ার্ড। কিন্তু কোস্টা রিকার এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বল যায় তার কাছেই। এবার ঠিকই জাল খুঁজে নেন তিনি।
৭৪তম মিনিটে মোরাতার বুদ্ধিদীপ্ত ক্রসে সাইড ফুটের চমৎকার ভলিতে স্কোরলাইন ৫-০ করেন গাভি। আর তাতে স্পেনের হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে কম বয়সী গোলদাতার কৃতিত্বটা নিজের করে নেন বার্সেলোনাআর এই ফরোয়ার্ড।
৯০তম মিনিটে দলের ষষ্ঠ গোলটি করেন সলের। নিকো উইলিয়ামসের ক্রস ঝাঁপিয়েও ঠিক মতো ফেরাতে পারেননি নাভাস। তিরিক্ত সময়ে কোস্টারিকার জালে সপ্তমবার বল জড়ান মোরাতা। বিরাট জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়নরা।