রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০১৮ বিশ্বকাপে সবাইকে চমকে দিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হারলেও সেটিই ছিল বিশ্বকাপে তাদের সর্বোচ্চ সাফল্য। কাতারে ক্রোয়েশিয়া সেই সাফল্য ধরে রাখতে বা ছাড়িয়ে যেতে পারবে কি-না, সেটি সময়েই জানা যাবে। তবে কাতার বিশ্বকাপে শুরুটা আশানুরূপ হলো না ইউরোপীয় দেশটির।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) কাতারের রাজধানী দোহার আল বাইত স্টেডিয়ামে এফ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে মরক্কোর বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের ৬৫% সময়ে বলের দখল রেখে এবং আক্রমণের পসরা সাজিয়েও গোলের দেখা না পাওয়ায় নিজেদের কিছুটা অভাগা ভাবতেই পারেন গত বিশ্বকাপের রানার্সআপরা।
মাঝমাঠকে গুরুত্ব দিয়ে নিজেদের রক্ষণ দুর্গ আগলে রেখে আক্রমণে শানানোর চেষ্টা ছিল ক্রোয়েশিয়া এবং মরক্কোর। দুই দলের কেউই তাই গোলের খুব বেশি সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি। ম্যাচে ক্রোয়েশিয়া এবং মরক্কোর খেলোয়াড়রা মাত্র দুটি শট লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিলেন। তবে ফিনিশিংয়ে কার্যকারিতা না থাকায় কোনো দলই জালে বল জড়াতে পারেনি।
ম্যাচের ১৬ মিনিটে ক্রোট অধিনায়ক লুকা মডরিচের দারুণ এক ক্রসকে গোলে রূপান্তর করার মতো কেউই ছিল না। তবে প্রথমার্ধের শেষদিকে অবশ্য এগিয়ে যাওয়ার ভালো সুযোগ পেয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। তবে মডরিচের বাড়ানো বলে নিকোলা ভ্লাসিচের নেওয়া শট আটকে দেন মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনু।
গোলের দেখা পেতে মরিয়া ক্রোয়েশিয়া দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায়। তবে মধ্যবিরতির পর গোলের প্রথম ভালো সুযোগটা পেয়েছিল মরক্কোই। ৫১ মিনিটে সোফিয়া বুফালের নেওয়া দূরপাল্লার শট ক্রোট ডিফেন্ডার দেয়ান লভরেনে প্রতিহত হওয়ার পর নুসাইর মাজরাউয়ির নেওয়া হেড ফিরিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ার গোলপ্রহরী ডমিনিক লিভাকোভিচ।
৬৪ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে হাকিম জিয়েখের গতিময় শট ফেরান লিভাকোভিচ। এর আগে মরক্কোর সেলিম আমাল্লাহর নেওয়া দুটো শটও ফিরিয়েছিলেন ক্রোট গোলরক্ষক। ম্যাচের শেষদিকে অবশ্য দুবার গোলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। লুকা মডরিচের ফ্রি কিক ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালেই প্রায় বল জড়িয়ে দিয়েছিলেন মরোক্কান ডিফেন্ডার ইউসুফ এন নেসিরি। ৮১ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ার আরও একটি আক্রমণ আফ্রিকান দেশটির রক্ষণে প্রতিহত হয়।
আক্রমণ–প্রতি আক্রমণে দুই দলই গোলের চেষ্টা করলেও প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে ফাটল না ধরাতে পারায় গোলবিহীন ড্রয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ক্রোয়েশিয়া এবং মরক্কোকে। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো গোলশূন্য ম্যাচের সাক্ষী হলো কাতার বিশ্বকাপ।