জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সংক্রামক রোগে ফের বেড়ে যেতে পারে বলে সতর্ক কবরেছে এইডস, যক্ষ্মা এবং ম্যালেরিয়ার নিয়ে কাজ করা সংস্থা গ্লোবাল ফান্ড।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক পিটার স্যান্ডস বলেছেন, ২০২২ সালে সংস্থাটি জনস্বাস্থ্যের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের “বর্ধমান প্রভাব” প্রত্যক্ষ করেছে। পাকিস্তানে বন্যার কারণে সেখানে ম্যালেরিয়ার উত্থান দেখা গেছে। জলবায়ূ পরিবর্তনের কারণে অন্যান্য ক্ষতির সঙ্গে সংক্রামক রোগের প্রভাবও বাড়বে। এতে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আফ্রিকার যে অংশগুলোতে আগে ম্যালেরিয়ার প্রভাব ছিল না; সেই এলাকাগুলোতেও বেশি তাপমাত্রার কারণে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। কেননা মশার বংশবিস্তার বেড়েছে। এটিকে বেশ “উদ্বেগজনক” হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বব্যাপী বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বাড়বে। এতে যক্ষ্মা ছড়ানোরও শঙ্কা রয়েছে। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক বলেন, যক্ষা এমন একটি রোগ যা অপর্যাপ্ত খাবার এবং আশ্রয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত। যতবেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হবেন ততবেশি শঙ্কা তৈরি হবে এই রোগ ছড়ানোর।
এছাড়া বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হবে সেটিও রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলবে।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য যতটা প্রস্তুতি নেওয়া দরকার সেই প্রস্তুতি নেই বলেও জানায় সংস্থাটি। সংস্থাটি প্রায় ৫৪০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে এই খাতে। যা আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
জেনেভাভিত্তিক সংস্থাটির বৃহত্তম দাতা সদস্য বিশ্বের বড় অর্থনীতির গ্রুপ জি-৭। জি-৭ এর নেতৃত্বে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স।
সংস্থাটির মতে, করোনাভাইরাস মহামারির চেয়ে দরিদ্র দেশগুলোতে এইচআইভি, টিবি এবং ম্যালেরিয়ায় বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। তাদের বিষয়ে এখনি বিশ্বকে আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে।