আন্তর্জাতিক ফুটবলে হাতে গোণা যে কয়টি দল গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলে আসছে, তাদের মধ্যে অন্যতম হলো ডেনমার্ক। কাতার বিশ্বকাপের অন্যতম ডার্ক হর্স হিসেবেও বিবেচনা করা হচ্ছে ডেনিশদের। যদিও বিশ্বকাপের শুরুটা তেমন ভালো হলো না ডেনমার্কের জন্য। পুরো ম্যাচে ৬০% বলের দখল রেখেও তিউনিশিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে গতবারের কোয়ার্টার ফাইনালিস্টদের।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) কাতারের আল রাইয়ান শহরের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে তিউনিশিয়ানদের বিরুদ্ধে ম্যাচের প্রথমার্ধে অবশ্য দাপট ছিল ডেনমার্কেরই। এরিকসেন, ডোলবার্গ, ওলসেনদের নিয়ে গড়া ডেনিশ আক্রমণভাগ বেশ কয়েকবার সুযোগ সৃষ্টি করলেও গোল আদায় করতে ব্যর্থ হয়।
তবে প্রথমার্ধের শেষদিকে খেলার ধারার বিপরীতে গোল পেয়ে যেতে পারতো তিউনিশিয়া। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়েই গোলে ডেনিশ গোলরক্ষকের মাথার ওপর তুলে দিয়ে গোল করতে চেয়েছিলেন তিউনিশিয়ার ইসাম জেবেলি। তবে তিউনিশিয়ান ফরোয়ার্ডের নেওয়া চিপ শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন ডেনমার্ক গোলরক্ষক ক্যাসপার স্মাইকেল। ফলে কোনো গোল না করেই মধ্যবিরতিতে যায় দুই দল।
গোলের জন্য মরিয়া ডেনমার্ক দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে দেয়। তবে ডেনিশদের সব প্রচেষ্টাই কখনও তিউনিশিয়ান রক্ষণভাগ আবার কখনও বা তাদের গোলরক্ষকের কাছে নস্যাৎ হয়ে গিয়েছে। ৬৯ মিনিটে ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের শট দুর্দান্তভাবে ঠেকিয়ে দেন তিউনিশিয়ার গোলরক্ষক ডাহমেন। পরের মিনিটেই ডেনিশরা গোলের আরেকটি ভালো সুযোগ পায়। তবে কর্নার থেকে ফাঁকায় দাঁড়ানো ওলসেন বলে মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন।
তবে ডেনমার্কের আক্রমণের জবাবে তিউনিশিয়াও ছেড়ে কথা বলেনি। ম্যাচে ডেনমার্কের আক্রমণের সংখ্যা বেশি হলেও গোলের প্রচেষ্টায় আফ্রিকান দেশটিই এগিয়ে ছিল। যার প্রমাণ দেখা যাবে শটসংখ্যার দিকে তাকালেই। পুরো ম্যাচে ডেনমার্কের শটের সংখ্যা যেখানে ১১টি, সেখানে তিউনিশিয়া শট নিয়েছে ১৩টি। যদিও লক্ষ্যে শট রাখার দিক থেকে এগিয়ে ছিল ডেনিশরাই।
ম্যাচের শেষদিকে অবশ্য গোলের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালাতে থাকে। নিজেদের ডি-বক্সে তিউনিশিয়ার এক খেলোয়াড়ের হাতে বল লেগেছিল। তবে হ্যান্ডবলটি অনিচ্ছাকৃত হওয়ায় রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজাননি।
শেষ পর্যন্ত গোলবিহীন ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় ডেনমার্ক ও তিউনিশিয়াকে। সেই সঙ্গে প্রথমবারের মতো গোলবিহীন ম্যাচের সাক্ষী হলো কাতার বিশ্বকাপ। আগামী শনিবার নিজেদের পরবর্তী ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের মুখোমুখি ফিফা র্যাংকিংয়ের দশে থাকা ডেনিশরা। অন্যদিকে, একই দিন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে লড়বে তিউনিশিয়ানরা।