কাতার ফুটবল বিশ্বকাপে সোমবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে জাতীয় সংগীত গায়নি ইরানের ফুটবল দল। নিজ দেশে পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে চলমান বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়ে নিজেদের জাতীয় সংগীত গাওয়া থেকে বিরত থাকেন ইরানের ফুটবলাররা। যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইরানে ‘সঠিকভাবে’ হিজাব না করার অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির পুলিশি হেফাজতে মারা যাওয়ার ঘটনায় দেশজুড়ে কয়েক মাস ধরে চলছে তুমুল বিক্ষোভ। সেই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে জাতীয় সংগীত গাওয়া থেকে বিরত থাকে ইরানের জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে ইরানের ডিফেন্ডার এহসান হাজসাফি পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে চলমান বিক্ষোভে তার সমর্থন জানান। হাজসাফি বলেন, ‘তাদের (বিক্ষোভকারী) এটা জানা দরকার, আমরা তাদের সঙ্গে আছি এবং আমরা তাদের সমর্থন করি। একই সঙ্গে তাদের এ অবস্থার প্রতি আমাদের সমবেদনা জানাচ্ছি।’
এদিকে ইরান দলের অধিনায়ক আলিরেজা জাহানবখশ জানিয়েছিলেন ইরানে চলা বিক্ষোভের সঙ্গে সংহতি জানাতে জাতীয় সংগীত গাওয়া থেকে বিরত থাকা হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত দলটি ঐক্যবদ্ধভাবে নেবে।
দোহার খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর আগে জাতীয় সংগীত বেজে উঠলে ইরানি খেলোয়াড়রা নির্বিকারভাবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে ২২ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে ইরানে বিক্ষোভ চলছে।
এ বিক্ষোভকে দেখা হচ্ছে ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর দেশটির ধর্মীয় নেতাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে।
বিক্ষোভের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল কাতারে যাওয়া ফুটবল দল। এ দলের সদস্যরা আন্দোলনে সংহতি জানাবেন কি না, তা জানতে মুখিয়ে ছিলেন অনেকে।