দীর্ঘ উত্থানের পর আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও কমতে শুরু করেছে জ্বালানি তেলের দাম। বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ এবং চীনের চাহিদা কমে যাওয়ায় গত শুক্রবার বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমেছে প্রায় ২ শতাংশ। এক সপ্তাহের হিসাবে দাম কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ। এ নিয়ে টানা দুই সপ্তাহ তেলের দাম কমল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শুক্রবার লন্ডনের ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম ২.১৬ ডলার বা ২.৪ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল হয় ৮৭.৬২ ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডাব্লিউটিআই) তেলের দাম ১.৫৬ ডলার বা ১.৯ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল হয় ৮০.০৮ ডলার। এক সপ্তাহের হিসাবে ব্রেন্ট তেলের দাম কমেছে প্রায় ৯ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডাব্লিউটিআই তেলের দাম কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলার জেরে বছরের শুরুর দিকে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের রেকর্ড দাম বৃদ্ধি পায়। কিন্তু সুদের হার বাড়ানোয় সম্প্রতি ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমেরিকার বাইরের দেশগুলোতে তেল অনেক ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে। এতে তেল ক্রয় কমিয়েছে অনেক আমদানিকারক দেশ।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশ চীনে আবারও করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় দেশটি অনেক দেশ থেকেই তেল আমদানি কমাচ্ছে। এ ছাড়া ইউরোপসহ বিশ্বের অনেক দেশ মন্দায় পড়তে যাচ্ছে। এমন শঙ্কাতেও দাম কিছুটা কমছে। কিন্তু রাশিয়ার তেলের ওপর আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে ইউরোপীেয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে দাম আবারও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ আগামী ১৩-১৪ ডিসেম্বরের বৈঠকে নীতি সুদহার আরো ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়াতে পারে। এতে আরো শক্তিশালী হবে ডলার, যা তেলের বাজারে প্রভাব ফেলবে। সূত্র : রয়টার্স