উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন পরিবারের সবই লোকচক্ষুর আড়ালে থাকাটাই যেন নিয়ম। দেশটির শীর্ষ নেতা কিম জং উনের স্ত্রীর দেখা মিললেও তার সন্তানাদির বিষয়টা ছিল আড়ালেই। তবে এবার নিজের মেয়েকে প্রকাশ্যে আনলেন এই নেতা।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘‘কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি” এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ছবিতে দেখা যায়, কোনো এক ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে কন্যা কিম চু-আই-এর হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছেন, কথা বলছেন এবং হাঁটছেন কিম। এর আগে কখনও কিম-কন্যাকে সামনে আসতে দেখেননি উত্তর কোরিয়া, এমনকি বিশ্ববাসীও।
ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জেরে গত দু’মাস ধরে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। যার সর্বশেষটি শুক্রবার জাপানের উপকূলে নিক্ষেপ করে উত্তেজনার পারদ চড়িয়ে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
এমন পরিস্থিতিতে ১২ বছরের কন্যাকে নিয়ে কিমের প্রথমবার প্রকাশ্যে আসাটা ‘‘তাৎপর্যপূর্ণ” বলে মনে করছেন অনেকে।
ছবিতে দেখা যায়, মেয়ের হাত ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি। পিছনে পরমাণু অস্ত্রবাহী হোয়াসং সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্র।
ব্রিটেনের পত্রিকা গার্ডিয়ান ২০১৩ সালে কিমের ঘনিষ্ঠ মার্কিন বাস্কেটবল খেলোয়াড় ডেনিস রোডম্যানকে উদ্ধৃত করে প্রথম জানিয়েছিল চু-আই-এর অস্তিত্বের কথা। কিন্তু শুক্রবারের আগে কখনও প্রকাশ্যে দেখা যায়নি তাকে।
২০১১ সাল থেকে উত্তর কোরিয়ার এই শাসকের পাশে এক নারীকে মাঝে মধ্যে দেখা যেতে শুরু করে। তার পরই জানা যায় যে, তিনি রি সল-জু, কিমের স্ত্রী। অর্থাৎ উত্তর কোরিয়ার ফার্স্ট লেডি। কিমের বিয়ের বেশ কিছুদিন পর সরকারিভাবে উত্তর কোরিয়া বিষয়টি ঘোষণা করে জানায়।
এর কিছু দিন পরে কয়েকটি পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম দাবি করে যে, ২০১০ সালেই কিম দম্পতির একটি সন্তান হয়। যদিও তাকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি শুক্রবারের আগে।
একইভাবে ২০১৭ সালে কিমের পুত্রসন্তান লাভের ‘খবর’ প্রচারিত হয়, তখন তার সত্যতা পাওয়া না গেলেও বিবিসি বলেছে, বিশ্বাস করা হয় যে, কিমের তিনটি সন্তান রয়েছে- দুটি কন্যা এবং একটি ছেলে, যার মধ্যে ১২ বছরের চু-আই সবার বড়।