ইচ্ছে
বিপত্নীক মৃত্যুপথযাত্রী অনেক সম্পত্তির মালিক বিকাশবাবু বিছানায়। নিজের লোকেরা জিজ্ঞেস করছে, ‘কি ইচ্ছে করছে!’
বিকাশ বললেন, ‘যা আছে সব দান করে যাব। উকিল ডাকো।’
কিছুদিন পরে সবাইকে ডেকে, ‘আমি তোমাদের বলিনি,আমার সব কিছু এক সেবা প্রতিষ্ঠানে দিয়ে দিয়েছি।’
আর কেউ আসে না। শুধু কাজের মাসি সব জানে।
মাতাল
এক মাতাল আরেক মাতালকে বলল , ‘অনেক দেখলাম। আর বাঁচতে ইচ্ছে করে না।’
দ্বিতীয় মাতাল সায় দিল। ‘আমারও রোজ একথাই মনে হয়।’
‘চল, তবে দুজনে মিলে কাল বিষ খেয়ে মরি।’
প্রথম মাতাল বলল, কাল যদি মরবই ঠিক হলো তবে আজ মদ খেতে দোষ কি?’
নারী
অমল, বিমল দুজন ছোটবেলার খুব বন্ধু। কোনো চাকরি পেল না। বহুদিন বেকার। ঠিক করল নির্জন পাহাড়ের কাছে গিয়ে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করবে।
সকালে গিয়ে দেখে,এক পাহাড়ি সুন্দরী ঝর্ণার জলে নগ্ন হয়ে মনের আনন্দে স্নান করছে। সেই দেখে অমল বলল, ‘আমি একটু ঝর্নার সামনে যাই।’ বিমল বুঝতে পেরে, ‘না,না তুই থাক, আমি যাচ্ছি।’
তুমুল মারামারি।
মেয়েটি বুঝতে পেরে সামনে এসে বলল, ‘একটাই জীবন। যারা মরতে চায়, তারা বোকা।’
ইগো
দুজনের বয়েস চল্লিশও হয়নি। এর মধ্যে খুব ঝগড়া রাতদিন বিয়ের পরেই। ডিভোর্স হলো।
মাধুরী অন্য পুরুষের সঙ্গে আর বিনয় অন্য মেয়ের সাথে রাত কাটাত। ওরা বুঝল সেক্স কাকে বলে।
তারপরে আবার যোগযোগ ফোনে। কেউ বলতে পারছে না, যৌনতা যে একটা শিল্প। যা আগে ওরা বোঝেনি।
শিশ্ন কথা
বিয়ে হতে আর এক ঘন্টা বাকি। এই সময় বরকে পাশের ঘরে নিয়ে গেল মেয়েবাড়ির লোকেরা। কী সব নিয়ম আছে বলে। ধুতি পরাতে গিয়ে উদোম করে দেখল।
সবাই অবাক হয়ে চিৎকার করে উঠল। এইটুকুতে সুখী হবে না আমাদের মেয়ে।
বিয়ে ভেঙে গেল।
বোঝা না বোঝা
-কোথায় যাচ্ছ এই সকালে?
-যেখানে মন চায়
-ও, বুঝেছি
-আর কথা নয়
-কেন?
-ও ই যে বললে, বুঝেছ!
-সেই জন্যেই তো জিজ্ঞাসা করছি।