ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম কেন্দ্রীয় সম্মেলন আগামী ৮ ডিসেম্বর হবে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এ তথ্য জানিয়েছেন।
এছাড়া আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সমাবেশের তারিখ আগামী ১৫ ডিসেম্বর পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সকালে গণভবনে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিসেম্বরের ৩ তারিখের পরিবর্তে একই মাসের অন্য কোনো তারিখে ছাত্রলীগের সম্মেলন আয়োজনে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দেন।
এর আগে গত ৪ নভেম্বর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলনের সিদ্ধান্ত হয়।
একই সভায় আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন মহিলা লীগের ২৬ নভেম্বর ও যুব মহিলা লীগের সম্মেলনের তারিখ ৯ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়। ২৬ নভেম্বর মহিলা লীগের সম্মেলনের তারিখ ঠিক থাকলেও যুব মহিলা লীগের সম্মেলন ৯ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ১৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের সর্বশেষ ২৯তম জাতীয় সম্মেলন হয়। ওই সম্মেলনের আড়াই মাস পর ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি এবং গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রলীগের কমিটি চূড়ান্ত করেন।
চাঁদাবাজির অভিযোগে সমালোচনার মুখে থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের নেতৃত্ব হারান শোভন ও রাব্বানী। সেদিনই সংগঠনের প্রথম সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আর প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জয় ও লেখককে পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর থেকে তারা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।