পশ্চিমাদের সামরিক ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ বলেছেন, প্রাথমিক পর্যালোচনায় ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে মঙ্গলবার পোল্যান্ডে আঘাত হানা ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী হয়তো ছুড়েছে। কিন্তু এই ঘটনার পুরো দায় রাশিয়া। কারণ তারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অবৈধ যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।
বুধবার ব্রাসেলসে এক সংবাদ সম্মেলনে ন্যাটো মহাসচিব বলেছেন, আমাদের প্রাথমিক পর্যালোচনা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, পোল্যান্ডে বিস্ফোরণ রাশিয়ার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের হামলার বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড রক্ষায় ইউক্রেনীয় আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী হয়ত ছুড়েছে।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই এটি ইউক্রেনের ভুল নয়। এই ঘটনার চূড়ান্ত দায় রাশিয়ার। কারণ তারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অবৈধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
স্টোলটেনবার্গ বলেন, ন্যাটোর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি রাশিয়া নিচ্ছে বলে আমাদের কাছে কোনও ইঙ্গিত নেই।
মঙ্গলবার রাতে ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী পোল্যান্ডের ভূখণ্ডে একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। ইউক্রেন-রাশিয়ার চলমান যুদ্ধে এই প্রথম কোনও ন্যাটো দেশ সরাসরি আক্রান্ত হলো।
ন্যাটো মহাসচিব বলেন, পোল্যান্ডে গতকাল যা ঘটেছে সেটির পুরো দায় রাশিয়ার। কারণ গতকাল ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অবিরাম আক্রমণ এবং চলমান যুদ্ধের সরাসরি ফল এই বিস্ফোরণ।
মহাসচিব আরও বলেন, ইউক্রেনীয় শহর ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো লক্ষ্য করে ছোড়া রুশ ক্ষেপণাস্ত্রকে ভূপাতিত করার অধিকার অবশ্যই ইউক্রেনের রয়েছে।
তিনি বলেন, এমন ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউক্রেন। আর যদি এমনটি ঘটেও তাহলে তা যেনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায় সেই চেষ্টা করা হবে।
মঙ্গলবার ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরিত হওয়ার পর পোল্যান্ড দাবি করেছিল, রুশ নির্মিত ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছে। শুরুতে ধারণা করা হয়েছিল, রাশিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র পোল্যান্ডে আঘাত হেনেছে। ইউক্রেনও একই দাবি করেছিল।
কিন্তু পরে যুক্তরাষ্ট্র, পোল্যান্ড ও ন্যাটো বলেছে, এটি একটি দুর্ঘটনা। ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র পোল্যান্ডের ভূখণ্ডে আঘাত হেনে থাকতে পারে। রাশিয়া পোল্যান্ডকে নিশানা করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।