ইউক্রেন সীমান্তবর্তী ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্র পোল্যান্ডে রাশিয়ার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত দুইজন নিহতের কথা জানিয়েছে পোলিশ সরকারের মুখপাত্র পিওটার মুলার। একে জরুরি মুহূর্ত উল্লেখ করে মঙ্গলবার রাতে জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বৈঠকে বসে দেশটির সরকার।
পোলিশ সরকারের একজন মুখপাত্র জানান, হামলাটি রাশিয়ার কিনা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে বিস্ফোরণে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে পোল্যান্ড তার সামরিক ইউনিটের প্রস্তুতি বাড়াচ্ছে। আমাদের ন্যাটো আর্টিকেল ফোর সক্রিয় করতে হবে কিনা তা যাচাই করা হচ্ছে।
পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুডা সাংবাদিকদের বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র কে বা কারা ছুড়েছে এখনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ মুহূর্তে আমাদের কাছে কোনও চূড়ান্ত প্রমাণ নেই… এটি সম্ভবত রাশিয়ার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ছিল, এর তদন্ত চলছে।
একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে জানা গেছে, মঙ্গলবার ইউক্রেন সীমান্তবর্তী পোল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলের একটি খামারে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে। তবে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করেনি পোল্যান্ড কর্তৃপক্ষ। তদন্ত শুরু করেছে দেশটি।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবরে নড়েচড়ে বসেছে সামরিক জোট ন্যাটো। জোটের এক কর্মকর্তা সিএনএনকে জানান, এ ঘটনায় খতিয়ে দেখতে ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্র পোল্যান্ডের সঙ্গে গভীরভাবে সমন্বয় করছে তারা।
পোল্যান্ডে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের দাবি করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রাতের নিয়মিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা শুধু আমাদের সীমান্তেই সীমাবদ্ধ না।’
তাৎক্ষণিক বিবৃতিতে প্রত্যাখ্যান করে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেন-পোলিশ সীমান্তের কাছে কোনও লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়নি।
হামলার খবরে নিজ দেশের জাতীয় প্রতিরক্ষা পরিষদের বৈঠক ডেকেছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। হাঙ্গেরি ইউক্রেনের প্রতিবেশি দেশ।
ন্যাটোর আর্টিকেল ৪ অনুযায়ী কোনও মিত্রের ওপর হামলা পুরো জোটের ওপর হামলা বলে বিবেচিত হবে। আর সেকারণে রাশিয়া যদি ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ডে হামলা চালায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ৩০ জাতির পুরো জোটের সঙ্গে সরাসরি লড়াই শুরু হয়ে যেতে পারে।
সূত্র: সিএনএন, বিবিসি, এপি, আল জাজিরা