দুই মাস আগে ইরানজুড়ে শুরু হওয়া বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে এ পর্যন্ত অন্তত ৩২৬ জন নিহত হয়েছেন। এমন দাবি করেছে নরওয়েভিত্তিক ইরান হিউম্যান রাইটস এনজিও (আইএইচআরএনজিও)। গত সেপ্টেম্বরে ইরানে পুলিশি হেফাজতে কুর্দি নারী মাহাশা আমিনীর মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়। আন্দোলন দমাতে কঠোর অবস্থান যায় তেহরান।
মানবাধিকার গোষ্ঠী দাবি করছে, নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহতদের মধ্যে ৪৩ শিশু ও ২৫ জন নারী রয়েছেন। তবে এই সংখ্যাটি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। বিক্ষোভ চলাকালে দীর্ঘদিন দেশটিতে ইন্টারনেট ব্যাবহারে লাগাম টানে ইরানি সরকার।
সিএনএনের প্রতিবেদনে এসেছে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সী কুর্দি নারী মাহশা আমিনি (২২) ইরানের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে দেশটির কঠোর পোশাকবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নৈতিকতা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় তিনি অজ্ঞান হয়ে কোমায় চলে যান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশটিতে কঠোর পোশাকবিধি বাতিল এবং নারীদের অবাধ চলাচলের স্বাধীনতার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়।
রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভে অংশ নেয় শিক্ষার্থী-শিক্ষকসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। সরকার বিক্ষোভে গুলিও চালায় বলে খবর পাওয়া যায়।
ক্রমবর্ধমান মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের কর্তৃপক্ষকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আইএইচআরএনজিও।
সূত্র: সিএনএন