ইউক্রেনের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ খেরসন অঞ্চল ছেড়ে গেছে রুশ বাহিনী। খেরসন ছেড়ে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টায় সাতটি সেতু ধ্বংস অবস্থায় পাওয়া গেছে। এসব সেতুর স্যাটেলাইট ছবি সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করেছে মাক্সার টেকনোলজিস।
প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত দুটির মধ্যে একটি রেল সেতু। এটি কাখোভকাতে বাঁধের ওপরে অবস্থিত। খেরসন শহরের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত আন্তোনিভস্কি সড়ক সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল আগেই। কিন্তু এখন এখন পুরোপুরি বিধ্বস্ত। আর পাশের রেল সেতুটিরও একই পরিস্থিতি।
খেরসনের দবিবকাতে ইনহুলসেটস নদী পার হওয়া আরেকটি সেতু বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখা গেছে। ওই সেতু ধরে রুশ বাহিনীর প্রবেশ চোখে পড়ার মতো ছিল। ম্যাক্সার আরও জানিয়েছে, কাখোভকা বাঁধের পূর্বে অবস্থিত দুটি ব্রিজ ধ্বংস করা হয়েছে।
কিন্তু খেরসনের গুরুত্বপূর্ণ এসব ব্রিজ ধ্বংসের পেছনে কারা দায়ী তা স্পষ্ট নয়। ইউক্রেনে ও রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি এখন পর্যন্ত। রুশ বাহিনী খেরসন অঞ্চলের ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিম থেকে পিছু হটলে এমন তাণ্ডবের বিষয়টি সামনে এনেছে ম্যাক্সার।
এদিকে দখলকৃত খেরসন শহর থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের পর শুক্রবার অঞ্চলটির পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইউক্রেনীয় সেনারা। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর শহরে প্রবেশের পর উল্লাসে মেতেছেন স্থানীয়রা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, স্থানীয়রা উল্লাস করছেন, ইউক্রেন ও সেনাবাহিনীর প্রশংসাসূচক স্লোগান দিচ্ছেন, কারও হাতে রয়েছে ইউক্রেনের পতাকা।
এর আগে বুধবার রুশ সেনাদের খেরসনের পশ্চিম তীর থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। সেপ্টেম্বরে যে চারটি ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে ঘোষণা করে খেরসন সেগুলোর একটি।
সূত্র: সিএনএন