ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন প্রদেশের ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীর খেরসন শহর থেকে পিছু হটছে রাশিয়া। বুধবার রুশ সেনাদের পশ্চিম তীর থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।
সেপ্টেম্বরে যে চারটি ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে ঘোষণা করে খেরসন সেগুলোর একটি। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার দখল করা একমাত্র প্রাদেশিক রাজধানী ও বৃহত্তম ভূখণ্ড হলো খেরসন। খেরসন প্রদেশের প্রাদেশিক রাজধানী হলো খেরসন শহর। ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীরে খেরসন শহরের অবস্থান।
খেরসনের পশ্চিম তীর থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ প্রায় ৯ মাসের যুদ্ধে রাশিয়ার সবচেয়ে বৃহত্তম পিছু হটা। এটি যুদ্ধের একটি সম্ভাব্য টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে।
টেলিভিশনে প্রচারিত বক্তব্যে যুদ্ধের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন বলেছেন, খেরসন শহরে রসদ সরবরাহ সম্ভব না।
সুরোভিকিন বলেছেন, তিনি রুশ সেনাদের ডিনিপ্রো নদীর পূর্ব তীরে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
খেরসন শহরের দিকে ইউক্রেনীয় সেনাদের অগ্রসর হওয়ার খবর বেশ কয়েকদিন ধরে পাওয়া যাচ্ছিল। ইউক্রেনীয় পাল্টা আক্রমণের আশঙ্কায় ইতোমধ্যে পশ্চিম তীর থেকে লক্ষাধিক বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়েছে রাশিয়া। এমন অবস্থায় খেরসন শহর থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হলো।
সুরোভিকিন বলেন, আমাদের সেনাদের জীবন এবং ইউনিটগুলোর লড়াইয়ের সক্ষমতা আমরা রক্ষা করব। পশ্চিম তীরে তাদের মোতায়েন রাখার কোনও অর্থ হয় না। এসব সেনাদের অপর রণক্ষেত্রে মোতায়েন করা যাবে।
কয়েক মাস ধরে ডিনিপ্রো নদী পারাপার ব্যবস্থা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে ইউক্রেন। এর ফলে পশ্চিম তীরে মোতায়েনকৃত সেনাদের রসদ সরবরাহে জটিলতার মুখে পড়েছে রাশিয়া। অক্টোবরের শুরু থেকেই ইউক্রেনীয় সেনারা ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে। যদিও সম্প্রতি তাদের গতি আরও মন্থর হয়েছে।