যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। বুধবার ফল ঘোষণা শুরু হওয়ার পর থেকে কোন দল কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ পাচ্ছে তা স্পষ্ট হচ্ছে না। রিপাবলিকানরা লাল ঢেউয়ের প্রত্যাশা করলেও ভোটের ফলে তেমন ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। বরং তুলনামূলকভাবে ডেমোক্র্যাটিক দল ভোটে তাদের শক্তি প্রদর্শন করছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময় বুধবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত সিনেটের ১০০ আসনের মধ্যে ৪৮টি ডেমোক্র্যাটিক এবং ৪৭টি রিপাবলিকানদের দখলে গেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ৫০টি আসন প্রয়োজন হয়। তবে এবার নির্বাচন হচ্ছে ১০০টির মধ্যে ৩৫টি সিনেট আসনে।
প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫টি আসনের মধ্যে ডেমোক্র্যাটিকরা জয় পেয়েছে ১৭৩টি আসনে এবং রিপাবলিকানরা ১৯৮টি আসনে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২১৮টি আসন।
বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফলের মধ্যে ডেমোক্র্যাটিকদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জয় হলো পেনসিলভানিয়ায়। গুরুত্বপূর্ণ এই সিনেট আসনে রিপাবলিকান প্রার্থীকে হারিয়েছেন দলটির নেতা জন ফেটারম্যান।
ভোটের ফল ঘোষণা যত হচ্ছে হোয়াইট হাউজের মনোভাব চাঙ্গা হচ্ছে। কারণ ভোটের পূর্বাভাসের তুলনায় ডেমোক্র্যাটরা অনেক ভালো করছে। টুইটারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হাস্যোজ্জ্বল ছবি প্রকাশ করেছেন। নির্বাচনে জয়ী ডেমোক্র্যাটিক নেতাদের তিনি ফোনে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ রিপাবলিকানদের হাতে যেতে পারে। দলটি আশা করছে এর ফলে তারা বাইডেনের অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পে বাধা দিতে সক্ষম হবে তারা।
কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ যদি রিপাবলিকানরা নিতে পারে তাহলে তারা চাইলে ইউক্রেনকে দেওয়া মার্কিন সহযোগিতা আটকে দিতে পারবে। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, একেবারে আটকে হয়ত দেবে না রিপাবলিকানরা। হয়ত সহযোগিতার প্রবাহ হবে একটু ধীরগতির।
ইকুইটি ক্যাপিটলের প্রধান ম্যাক্রো অর্থনীতিবিদ স্টুয়ার্ট কোল বলছেন, প্রেসিডেন্ট, কংগ্রেস ও রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদ কর বৃদ্ধি, সরকারের ব্যয় সীমিত করে দিতে পারে। যার হলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার খুব বেশি বাড়বে না।
প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যাককার্থি আশা করছেন তিনি পরিষদের স্পিকারের দায়িত্ব পেতে পারেন। তিনি বলেছেন, কাল যখন আপনাদের ঘুম ভাঙবে আমরা হব সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং ন্যান্সি পেলোসি হবেন সংখ্যালঘু।