ইউক্রেনের দখলকৃত খেরসন অঞ্চলে রাশিয়ার মনোনীত প্রশাসন বলেছে, সাময়িকভাবে অঞ্চলটিতে বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহ বন্ধ হয়েছে। রবিবার টেলিগ্রামে একথা জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, অঞ্চলটির তিনটি বিদ্যুৎ লাইন ‘সন্ত্রাসী হামলায়’ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এখবর জানিয়েছে।
টেলিগ্রামে খেরসনের রুশ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, এই হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। তবে এই দাবির পক্ষে তারা কোনও প্রমাণ হাজির করেনি।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও দ্য গার্ডিয়ানের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এই দাবির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বার্তা সংস্থা তাস এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, খেরসন শহরসহ দশটি বসতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। যুদ্ধের আগে খেরসন শহরে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৮০ হাজার।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সর্বাত্মক আক্রমণের পর রাশিয়ার দখলকৃত একমাত্র প্রাদেশিক রাজধানী হলো খেরসন। এখন পর্যন্ত চলমান যুদ্ধে খেরসন অঞ্চল দখল করা রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। সেপ্টেম্বরে যে চারটি ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে ঘোষণা করে খেরসন সেগুলোর একটি।
ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের আশঙ্কায় গত কয়েক সপ্তাহে ডনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীর থেকে কয়েক হাজার মানুষকে পূর্ব তীরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর খেরসন শহরের দিকে অগ্রসর হওয়ার কারণে বিপজ্জনক পরিস্থিতি উল্লেখ করে মস্কো মনোনীত কর্তৃপক্ষ সতর্ক করার পর মানুষকে সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়।