ইরানে চলমান বিক্ষোভের মধ্যে গত শুক্রবার সরকারি বাহিনীর দমনপীড়নে শিশুসহ ১০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। টুইট বার্তায় সংস্থাটি এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। খবর সিএনএনের।
অ্যামনেস্টি জানায়, ইরানি নিরাপত্তা বাহিনী সিস্তান ও বেলুচিস্তান প্রদেশের খাশ শহরে গভর্নরের বাসভবনের ছাদ ও বেশ কয়েকটি ভবনের ওপর থেকে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেছে। প্রদেশটি আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সীমান্তবর্তী। এখানে বেলুচ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেশি। বেলুচদের সরকারবিরোধী বিক্ষোভের অতীত ইতিহাসও রয়েছে।
ইরানের নৈতিক পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর এক কুর্দি তরুণী নিহত হলে গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ইরানে গণবিক্ষোভ শুরু হয়। চলমান বিক্ষোভের ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সিস্তান ও বেলুচিস্তানে ওই বিক্ষোভ হয়।
রাষ্ট্রীয় আইআরএনএ নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে খবরে বলা হচ্ছে, সম্প্রতি সিস্তান ও বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী জাহেদানে পুলিশপ্রধানের হাতে ধর্ষণের শিকার হন এক বেলুচ তরুণী। এর পর বিক্ষোভ আরও বেশি জোরদার হয়। পুলিশপ্রধানকে অপসারণ করলেও বিক্ষোভ থামানো যায়নি। এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার এক শিয়া ধর্মগুরুকে গুলি করে হত্যা করে মুখোশ পরা বন্দুকধারী।
খাশ শহরসহ দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের বেশ কয়েকটি শহরে শুক্রবার সরকারবিরোধী বিক্ষোভ সহিংস রূপ নেয়। গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ভবন থেকে ধোঁয়া উঠছে। অ্যামনেস্টি বিভিন্ন উৎস থেকে এসব ঘটনার বিভিন্ন ফুটেজ ও তথ্য উল্লেখ করেছে প্রতিবেদনে। সংস্থাটি জানায়, ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। জাহেদান, খাশ প্রভৃতি শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে। আমরা নতুন করে রক্তপাতের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
অ্যামনেস্টির দাবি, ইরান সরকারকে অবিলম্বে নিরাপত্তা বাহিনীর লাগাম টেনে ধরতে হবে। জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর উচিত ইরানি রাষ্ট্রদূতকে চাপে ফেলা। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কাউন্সিলকে ইরানে স্বাধীন তদন্তের সুযোগ দিতে হবে।