১৯৭৯ সালে তেহরানে অবস্থিত তৎকালীন মার্কিন দূতাবাস দখল নিয়েছিল ইরানের ইসলামী বিপ্লবের অনুসারী শিক্ষার্থীরা। চলতি বছর দেশটিতে ব্যাপক সরকার বিরোধী আন্দোলনের মধ্যেই ক্ষমতাসীনরা শুক্রবার (৪ নভেম্বর) ‘‘মার্কিন দূতাবাস দখল দিবস” উদযাপন করেছে।
ইমাম খোমেনির নেতৃত্বে চীন ও সোভিয়েত ইউনিয়নের সহায়তায় ১৯৭৯ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি একটি এন্টি-ওয়েস্টার্ন বিপ্লবের মাধ্যমে ইরানে ইসলামী বিপ্লব জয়ী হয়।
এতে অবসান হয় আড়াই হাজার বছরের পুরনো ইরানি রাজতন্ত্রের। যুক্তরাষ্ট্রপন্থি রাজা শাহ পল্লবীর পতন হওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে পশ্চিমারা। সে সময় মার্কিন দূতাবাস থেকে ইরানবিরোধী চক্রান্তের অভিযোগ আনে তেহরান।
এ পর্যায়ে ইরানের একদল শিক্ষার্থী তেহরানে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস দখল করে নেয়। ৫২ জন মার্কিন কূটনৈতিককে ৪৪৪ দিন আটকে রাখে তারা।
যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। দখলের পর সেখান থেকে ইরানবিরোধী গুপ্তচরবৃত্তির ব্যাপক দলিল উদ্ধার করা হয়। সেসব দলিল এখনো সেখানে সংরক্ষিত রয়েছে।
ইরানে সাম্প্রতিক সরকার বিরোধী আন্দোলনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উস্কানি ও ইন্ধন দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে তেহরান।
এরমধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ‘‘ইরানকে মুক্ত করার” প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বাইডেনের এমন ঘোষণার সমালোচনা করেছেন ইব্রাহীম রাইসি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত খবরে দেখা যায়, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দিবসে সড়কে নেমে এসেছেন হাজার হাজার ইরানি। তারা ‘‘যুক্তরাষ্ট্রের পতন হোক”, ‘‘ইসরাইল ধ্বংস হোক” বলে স্লোগান দিতে থাকে।
ইরানের পতাকা হাতে স্কুলছাত্ররাও এতে যোগ দেয় ও দূতাবাস দখলের সমর্থনে ব্যানার বহন করে।
শুক্রবারের এই প্রতিবাদ মাহসা আমিন ইস্যুতে আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকারপন্থীদের ইরানিদের পক্ষে জনসমাগম হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটিকে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে শোডাউন হিসেবেও মনে করছেন অনেকেই।