মাছের ঘেরে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন পাঁচ ব্যক্তি। পরে গণপিটুনি থেকে রক্ষা পেতে জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশকে জানান তারা বিপদে আছেন। এমন ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামে।
রবিবার (৩১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে পায়রাডাঙ্গা দক্ষিণ বিলে মাছ চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন পাঁচজন। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে সাতক্ষীরা সদর থানায় নিয়ে আসে।
আটক পাঁচজনের মধ্যে রয়েছেন- সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম, মোস্তাকিন হোসেন, মিজানুর রহমান, হুসাইন বাবু ও শাহারুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, পায়রাডাঙ্গা দক্ষিণ বিলে মাছ চুরি করতে গিয়ে পাঁচজন ধরা পড়েন। পরে জনগণের মারপিট থেকে বাঁচতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করে সহায়তা চান তারা। জানান, “খুব বিপদে আছি”।
স্থানীয় ঘের মালিক শরিফুল জানান, সাতক্ষীরা সদরের পায়রাডাঙ্গা দক্ষিণ বিলে তাদের পাঁচ বিঘার একটি মৎস্য ঘের রয়েছে। গভীর রাতে পাঁচজন জাল দিয়ে তাদের ঘের থেকে মাছ ধরতে শুরু করেন। বিষয়টি পাশের ঘেরের দায়িত্বে থাকা আব্দুল্লাহ নামে একজন দেখতে পেয়ে মোবাইলে বিষয়টি জানান।
তিনি বলেন, “আমরা গিয়ে তাদের ধরার চেষ্টা করলে তারা ধাক্কা দিয়ে পাশের একটি বাড়ির বারান্দায় গিয়ে ওঠেন। পরে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে সহায়তা চান। ফোন পেয়ে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।”
সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান বলেন, “জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে ফোন করে সাহায্য চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। পরে জানা যায়, তারা ঘেরে মাছ চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন। স্থানীয়দের গণপিটুনির হাত থেকে রক্ষা পেতে পুলিশকে তারা ফোন করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “যার ঘেরে তারা মাছ চুরি করতে গিয়েছিল, তিনি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।”