ইসরায়েলের পারমাণবিক অস্ত্র ধ্বংসে জাতিসংঘে তোলা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে ১৫২টি দেশ। তবে এই প্রস্তাবের বিপক্ষে মত দিয়েছে পাঁচটি দেশ। ভোটদানে বিরত ছিল ২৪ দেশ।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে ‘‘মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক বিস্তারের ঝুঁকি” শিরোনামে একটি বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানেই ইসরায়েলের পারমাণবিক অস্ত্র ধ্বংসের বিষয়ে ভোটাভুটি হয়।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদে মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক বিস্তারের ঝুঁকি নিয়ে আলোচনার জন্য মিশর বার্ষিক প্রস্তাব জমা দেয়। এতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও বাহরাইন, জর্ডান, মরক্কো এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১৯টি দেশ দ্বারা সমর্থন দেয়।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রথম কমিটির প্রাথমিক ভোটে ১৫২টি দেশ বলেছে, ইসরায়েলকে অবশ্যই তার সমস্ত পারমাণবিক অস্ত্র ধ্বংস করতে হবে এবং তার পারমাণবিক সাইটগুলোকে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার আওতায় রাখতে হবে।
তবে এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে পাঁচটি দেশ। দেশগুলো হল- কানাডা, ইসরায়েল, মাইক্রোনেশিয়া, পালাউ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যসহ আরও ২৪টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল।
ইসরায়েলের কাছে ৮০ থেকে ৪০০টি পরমাণু ওয়ারহেড রয়েছে। তবে পারমাণবিক অস্ত্র থাকার বিষয়টি তেল আবিব কখনো অস্বীকার বা স্বীকার কিছুই করেনি। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি বা এনপিটিতেও সই করেনি তারা।
ইসরায়েল প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে ১৯৬৬ সালের শেষের দিকে বা ১৯৬৭ সালের প্রথম দিকে। তবে ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে এ নিয়ে অস্পষ্টতার নীতি বজায় রেখেছে।