বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ২০৫০ সালের মধ্যে বাস্তুচ্যুত বাংলাদেশির সংখ্যা ১ কোটি ৩৩ লাখে (১৩ মিলিয়নেরও বেশি) পৌঁছাতে পারে। এছাড়া একই সময়ের মধ্যে দেশে কৃষি জিডিপির এক তৃতীয়াংশ কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিশ্বব্যাংকের জলবায়ু নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান “কান্ট্রি ক্লাইমেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট (সিসিডিআর)” বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব নিয়ে এক প্রতিবেদনে জানায়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে ১৮% এবং জাতীয়ভাবে ৬.৫% ফসলি জমি সঙ্কুচিত হতে পারে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করতে প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে একটি সবুজ, স্থিতিস্থাপক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির মডেলে উত্তরণ অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ বছরের জুলাইয়ে অভিবাসন সংস্থাও একই আশঙ্কা প্রকাশ করে। সেসময় এক নীতি সংলাপে অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, জলবায়ুকেন্দ্রিক অভিবাসন মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপ না নিলে তা বাংলাদেশ এবং বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) আয়োজনে ওই সংলাপে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেছিলেন, “বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে একটা ‘অভ্যন্তরীণ অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় জাতীয় কৌশল’ প্রণয়ন করেছে। বাংলাদেশের নিরলস কূটনৈতিক প্রচেষ্টার কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ধীরে ধীরে জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি ও প্রয়োজনীয় অর্থায়নের ব্যবস্থা তৈরির মত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে মুখ খুলছে।”