রোহিত শর্মার রেকর্ড গড়ার দিনটি জয়ে রাঙালো ভারতীয় দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নেদারল্যান্ডকে ৫৬ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে রোহিত শর্মারা। টানা দ্বিতীয় জয়ে গ্রুপ দুইয়ের শীর্ষ স্থানও ধরে রাখা গেছে তাতে। ২ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৪। সমান ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান দক্ষিণ আফ্রিকার। তার পর ২ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান বাংলাদেশের।
পাকিস্তানকে রোমাঞ্চকর জয় এনে দেওয়া বিরাট কোহলি আগের দিন টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশে ফিরেছেন। প্রথম ম্যাচে জ্বলে ওঠা যে কাকতালীয় নয়, তার প্রমাণ এই ম্যাচেও দিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। দলীয় ১১ রানে রাহুল ফিরলে রোহিত শর্মা ও কোহলির ঝড়ো জুটি বড় স্কোরের ভিত গড়ে দিয়েছে। তাদের জুটিতে যোগ হয় ৭৩ রান। ১২তম ওভারে অধিনায়ক রোহিতের বিদায়ে জুটি ভাঙে। তিনি ৩৯ বলে চারটি চার ও ৩ ছয়ে ৫৩ রানে আউট হয়েছেন। এর আগে আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার যৌথ রেকর্ডেও নাম ঢুকে যায় তার।
রোহিতের বিদায়ের পর ইনিংসটা ফুলে-ফেঁপে উঠে মূলত সূর্যকুমারের বিধ্বংসী ইনিংসে। কোহলি ৪৪ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৬২ রানে অপরাজিত ছিলেন ঠিকই। কিন্তু সূর্যর ২৫ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় করা ৫১* রানের গতিকে আরও তরান্বিত করেছে। তাতে ২ উইকেটে ১৭৯ রান জমা হয়েছে ভারতের স্কোরবোর্ডে। ম্যাচসেরাও সূর্যকুমার যাদব।ডাচদের হয়ে একটি করে উইকেট নেন ফন মিকারেন ও ফ্রেড ক্লাসেন।
জবাবে কোনও দিক দিয়েই ভারততে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি ডাচরা। ৯ উইকেটে করতে পেরেছে ১২৩ রান। ভারতের বোলিং তোপে শুরু থেকেই চাপে ছিল নেদারল্যান্ড। নিয়মিত বিরতিতে পড়েছে উইকেট। সর্বোচ্চ স্কোর বলতে টিম প্রিঙ্গলের ২০। তাছাড়া ১৬ রান আসে ম্যাক্স ও’ডাউডের ব্যাট থেকে। ১৬ রান করেন বাস ডি লিড। ১৭ রান আসে কলিন অ্যাকারম্যানের ব্যাট থেকেও। শারিজ আহমেদ শুধু ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।
দলীয় বোলিং নৈপুণ্যে ভারতের হয়ে ৯ রানে ২ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। ১৮ রানে দুটি নেন অক্ষর প্যাটেল। ২১ রানে দুটি নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। আরশদ্বীপ সিংহও ৩৭ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন। ২৭ রানে একটি শিকার মোহাম্মদ সামির।