ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর যারা শরণার্থী হিসেবে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের এখনই দেশে ফিরতে নিষেধ করেছে ইউক্রেন। আসছে শীত পর্যন্ত এসব শরণার্থীর দেশে ফেরা উচিত হবে না বলে জানিয়েছে সরকার।
বিবিসির খবরে জানা যায়, সাম্প্রতিক দিনগুলোয় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা চালায় রুশ বাহিনী। এরই প্রভাবে দেশটির বিদ্যুৎ খাত আসন্ন শীতে চাপের মুখে পড়তে পারে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে দেশের শরণার্থী নাগরিকদের না ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন উপপ্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশ্চুক। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না। আপনারা দেখছেন, রাশিয়া কী করছে। শীতে আমাদের বাঁচতে হবে।’
ভেরেশ্চুক বলেন, বসন্তেই বিভিন্ন দেশে থাকা ইউক্রেনের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে চান তিনি। কিন্তু এখনই তাদের দেশে ফিরে আসা ঠিক হবে না। কারণ পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, দফায় দফায় রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় দেশের জ্বালানি অবকাঠামোর এক-তৃতীয়াংশের বেশি ধ্বংস হয়ে গেছে। এ অবস্থায় ইউক্রেনের আসন্ন বাজেটের ঘাটতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল জানায়, ইউক্রেনকে টিকে থাকতে ও ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে আগামী বছর প্রতি মাসে ৩০০ কোটি ডলার করে লাগতে পারে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলা শুরুর পর থেকে ইউক্রেনীয়রা দেশ ছেড়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিতে শুরু করে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলছে, রাশিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ৭৭ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।