মিয়ানমারের বৃহত্তম জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে চালানো দেশটির সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত এবং ১০০ জন আহত হয়েছে। নিহতের সংখ্যা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে নিশ্চিত করেছেন কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি (কেআইএ)-এর মুখপাত্র কর্নেল নাউ বু।
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন রাজ্যের প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, কানসি গ্রামে কেআইএ আয়োজিত একটি কনসার্টে তিনটি বোমা ফেলেছে উড়োজাহাজ।
গ্রামবাসীদের কয়েকজন জানিয়েছেন, অভিযান শুরুর আগে কোনও সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়নি।
স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে কাচিন বিদ্রোহীদের সশস্ত্র সংগ্রাম শুরুর ৬২তম বার্ষিকী উদযাপনের জন্য কানসি গ্রামে এই কনসার্ট আয়োজন করা হয়েছিল।
রবিবার স্থানীয় সময় ২০টা ৩০ মিনিটে তিনটি বড় ধরনের বিস্ফোরণের কথা উল্লেখ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। বোমা বিস্ফোরিত হলে কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত ও কনসার্টের দর্শকরা হতাহত হন।
নিহতদের মধ্যে চারজন জনপ্রিয় কাচিন সংগীতশিল্পী রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন, আহতদের কাছের শহর হপাকান্তে নিয়ে যেতে চিকিৎসাকর্মীদের বাধা দিয়েছে সেনাবাহিনী।
কাচিন রাজ্যের এই অংশে কয়েক বছর ধরে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের তুমুল সংঘর্ষ চলমান রয়েছে। এখানে বেশ কয়েকটি মূল্যবান পাথরের খনি রয়েছে। বছরে ৩০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের খনিজ সম্পদ উত্তোলন করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত বছর সেনা অভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সশস্ত্র বিদ্রোহীদের ওপর হামলা জোরদার করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী।