বান্দরবানের সীমান্ত এলাকায় চলছে নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযান। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলার থানচি ও আলীকদম উপজেলায় পর্যটক যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। এর আগে, গত সপ্তাহে রুমা ও রোয়াংছড়িতে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
রবিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে প্রশাসন এক নিদের্শনায় থানচি ও আলীকদম উপজেলায় পর্যটক যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়টি জানানো হয়।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (রুটিন দায়িত্ব) মো. লৎফুর রহমানের সই করা চিঠিতে বলা হয়, “পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে আলীকদম ও থানচি উপজেলার স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটক প্রবেশ ২৩-৩০ অক্টোবর পর্যন্ত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।”
কবে নাগাদ এই চার উপজেলায় পর্যটকরা প্রবেশ করতে পারবেন সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ির সাইজামপাড়ার দুর্গম এলাকায় যৌথবাহিনীর ১০ দিনের অভিযানের পর বৃহস্পতিবার জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সাতজন ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) তিনজন সদস্যকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব। অভিযানে একটি আস্তানা ধ্বংস করা হয়। এ ঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যেও আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে, একের পর এক উপজেলায় পর্যটক যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা, অস্ত্র উদ্ধার ও সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের পর জেলাজুড়ে
আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। জেলার দুই শতাধিক হোটেল-মোটেল এখন পর্যটকশূন্য। এতে পর্যটনশিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা পড়েছেন লোকসানে।