ব্রিটেনের রাজনীতিতে বইছে উত্তাল হাওয়া। নিজ দলে চাপের মুখে বৃহস্পতিবার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের কথাও জানিয়েছেন তিনি। এ দৌড়ে ফিরতে পারেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
বৃহস্পতিবার লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফ ও দ্য টাইমস রিপোর্টে এসেছে, নেতৃত্বের লড়াইয়ে বরিস জনসন নামবেন বলে মনে হচ্ছে। লিজ ট্রাসের কাছে প্রতিযোগিতায় হেরে যাওয়া সাবেক চ্যান্সেলর ঋষি সুনাকও সিগন্যাল দিয়েছেন। তিনিও এই পদের জন্য খুব বেশি আগ্রহী। বরিস জনসন আবারও দায়িত্বে ফিরতে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে দ্য টাইমস বলছে, জনসন বিশ্বাস করেন এটি জাতীয় স্বার্থ।
ব্রিটিশ সরকারের মধ্যে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়েছে গত কয়েকদিন ধরে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান লিজ ট্রাসের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এরপর থেকে ট্রাসের পদত্যাগে চাপ সৃষ্টি করেন দলীয় একাধিক আইনপ্রণেতা। আইনপ্রণেতারা একমত হয়েছেন আগামী সপ্তাহের মধ্যে নেতৃত্বের নির্বাচন হবে।
পদত্যাগের কারণ হিসেবে ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে দাঁড়িয়ে লিজ ট্রাস বলেন, অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বড় ধরনের অস্থিরতার সময়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে নিয়েছিলেন। যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর পদে এসেছেন, তা পূরণ করতে পারছেন না তিনি।
ক্ষমতায় এসেই অজনপ্রিয় বাজেট প্রণয়ন এবং কিছু অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি। এসব পদক্ষেপ তার দলকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে। যার ফলশ্রুতিতে এখন রাজনৈতিকভাবে টিকে না থাকতে পেরে দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন ট্রাস।