ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পোশাক আমদানির সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছরের সাত মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) বাংলাদেশ থেকে ইইউতে রপ্তানি ৪৩.৩৮% বৃদ্ধি পেয়ে ১৩.১৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৭.৮২ বিলিয়ন ডলার।
পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাট এসব তথ্য প্রকাশ করেছে। একই সময়ে ইইউর বৈশ্বিক পোশাক আমদানি ২৪.৭৪% বেড়েছে। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ৫ হাজার ৬৩৩ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে এ অঞ্চলের দেশগুলো।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২১ সালের জুলাইয়ের তুলনায় এবারের জুলাইয়ে ইইউর বৈশ্বিক আমদানি প্রবৃদ্ধি ২২.৭০% এবং বাংলাদেশ থেকে প্রবৃদ্ধি ছিল ৩৬.৯০%।
চলতি বছরের জানুয়ারি-জুলাই সময়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের চীন থেকে বছরওয়ারী আমদানি ২৩.৫২% প্রবৃদ্ধিসহ ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। উল্লেখযোগ্য অন্যান্য প্রবৃদ্ধির দেশ হলো- কম্বোডিয়া ৪১.৫%, পাকিস্তান ২৮.৫%, ইন্দোনেশিয়া ৩০.৮৬%, ভিয়েতনাম ২২.৭৮% এবং মরক্কো ১৬.৬৭%।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, বর্ধিত চাহিদা এবং কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধির ফলে ইউনিট প্রতি মূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রবৃদ্ধি বেশি হয়েছে।
এক্সপোর্ট প্রোমোশন ব্যুরো (ইপিবি) জানিয়েছিল সেপ্টেম্বরে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.৫২%। ইউরোস্ট্যাট ডেটা পরে প্রকাশিত হওয়ার কারণে, ইতিবাচক-নেতিবাচক বা বিভ্রান্তির একটি ব্যবধান তৈরি হয়েছে।
মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, “সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনায় ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির কারণে খুচরা বিক্রেতারা বিশ্ব বাজারের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে লড়াই করছে। অনেক ইউরোপীয় ব্র্যান্ডের খুচরা বিক্রয় হ্রাস পেয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে এই চ্যালেঞ্জগুলোর কারণে ইইউ’র আমদানি বছরের শেষ প্রান্তিকে কমতে শুরু করতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “খুচরা বিক্রি কমে যাওয়ায় ক্রয়াদেশ কমেছে। ক্রেতারা ক্রয়াদেশ স্থগিত করছে। এমনকি এখন পণ্যের দামে ছাড় চাচ্ছেন তারা। আমরা একটা অনিশ্চিত পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এটি প্রশমিত করতে পশ্চিমের বাইরের বাজারগুলোতে নজর দিতে হবে।”