আঞ্চলিক নিরাপত্তা রক্ষায় ১৭০টি ট্যাঙ্কসহ বেলারুশ সীমান্তে ৯ হাজার রুশ সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলোকে হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে সম্প্রতি বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কে ঘোষণা দেন, ‘‘তার সৈন্যদেরকে ইউক্রেন সীমান্তে রুশ বাহিনীর সঙ্গে মোতায়েন করা হবে।’’
বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সামরিক সহযোগিতা বিভাগের প্রধান ভ্যালেরি রেভেনকো বলেন, ‘‘আঞ্চলিক নিরাপত্তা গ্রুপে যোগ দিতে এরইমধ্যেই রুশ সেনাদের বহর বেলারুশে আসতে শুরু করেছে। মোট সৈন্য সংখ্যা ৯ হাজারের কিছু কম হবে। সম্পূর্ণ বাহিনী আসতে কয়েকদিন সময় লাগবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘রাশিয়া বেলারুশে ১৭০টি ট্যাঙ্ক, ২০০টি সাঁজোয়া যান ও ১০০ মিলিমিটারের বেশি ক্যালিবারসহ ১০০ অস্ত্র ও মর্টার পাঠাবে।’’
রাশিয়ান ইউনিটগুলোকে পূর্বে ও বেলারুশের কেন্দ্রে চারটি প্রশিক্ষণ গ্রাউন্ডে মোতায়েন করা হবে। সেখানে তারা ‘‘কমব্যাট ফায়ারিং ও অ্যান্টি-এয়ার মিসাইল ফায়ারিং’’-এর অনুশীলন করবে।
বেলারুশ বলছে, ‘‘সীমানা সুরক্ষিত করার জন্য বাহিনীটি অনন্যভাবে প্রতিরক্ষামূলক হবে।’’
গত সপ্তাহে বেলারুশের নেতা আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘‘ইউক্রেন তার দেশে আক্রমণ করার ষড়যন্ত্র করছে। এজন্য তিনি মস্কোর সাথে একটি যৌথ বাহিনী ঘোষণা করেন।’’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া ও ইউক্রেন বেলারুশে ‘‘নাশকতা, সন্ত্রাসী হামলা চালানো ও সামরিক বিদ্রোহ সংগঠিত করাতে’’ মৌলবাদীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রত্যক্ষভাবে বেলারুশকে এই যুদ্ধে টেনে আনার চেষ্টার অভিযোগ তোলেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে।
জেলেনস্কি ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে একটি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক মিশন স্থাপনের আহ্বান জানান।
লুকাশেঙ্কো রাশিয়ান রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র। ফেব্রুয়ারিতে কিয়েভের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করতে মস্কোর সেনাদের বেলারুশিয়ান অঞ্চল ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিলেন তিনি।
তবে বেলারুশিয়ান সশস্ত্র বাহিনী এখন পর্যন্ত অভিযানে অংশ নেয়নি। আর্থিক ও রাজনৈতিকভাবে প্রধান মিত্র রাশিয়ার উপর নির্ভর করে বেলারুশ।