ইরানের রাজধানী তেহরানের এভিন কারাগারে শনিবার রাতে বন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত চার বন্দি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে আরও ৬১ জন। বিচার বিভাগের বরাত দিয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ এ খবর দিয়েছে।
আইআরএনএ –র বরাত দিয়ে আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, আগুনের ধোঁয়ায় শ্বাস নিতে না পেরে লোকজনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের মদ্যে মধ্যে ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চার জনের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন বলে জানা গেছে।
তেহরানে থাকা বিবিসির প্রতিবেদক জানিয়েছেন, কুখ্যাত কারাগারটিতে কী চলছে তা এখনও স্পষ্ট হওয়া যায়নি। মাহাশার মৃত্যুর প্রতিবাদে আন্দোলকারীদের অনেককেই ইভিন প্রিজনে রাখা হয়েছে। তারাই ভেতরে বিক্ষোভ ও অগ্নিসংযোগ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইরানের সরকারবিরোধী একটি মনিটরিং গ্রুপে পোস্ট করা ভিডিওতে কারাগারের বাইরে থেকে জোরেশোরে সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে শোনা যায়। আরেকটি ভিডিওতে গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
দাঙ্গা পুলিশকে ইভিন কারাগারে ঢুকতে দেখা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে বিশেষ বাহিনীকে কারাগারের আশেপাশে মোতায়েন করা হয়েছে। তেহরানের গভর্নর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, এটি ছোট একটি দাঙ্গা। তবে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।
কারাগারটিতে থাকা ব্যক্তিদের বেশিরভাগই রাজনৈতিক বন্দি। এর মধ্যে দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা ইরানিরাও রয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমা অধিকার গোষ্ঠীগুলো এই কারাগারটির সমালোচনা করে আসছিল। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকায় এটিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।