বাংলােদেশের কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ ক্যাম্প থেকে আরও ৯৬০ রোহিঙ্গা নোয়াখালীর ভাসানচরে যাচ্ছেন। প্রায় দেড় মাস পর ১৭তম দফায় রবিবার (১৬ অক্টোবর) পাঁচটি বাসে ৫০০ রোহিঙ্গা উখিয়ার ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামে রওনা হয়েছেন।
একই দিনগত রাতে আরও ৪৫০ রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশে চট্টগ্রামে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকালে নৌবাহিনীর জাহাজযোগে এসব রোহিঙ্গা ভাসানচরে পৌঁছাবেন।
এসব তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা নয়ন। তিনি বলেন, ‘‘প্রায় দেড় মাস পর কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলো থেকে ৯৫০ রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাচ্ছেন।’’
‘‘ইতোমধ্যে ৫০০ রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশ্যে উখিয়া থেকে চট্টগ্রামে রওনা হয়েছেন। বাকিরা রাতেই রওনা হবেন।’’
রোহিঙ্গারা উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন জানিয়ে ৮-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ বলেন, ‘‘৫০০ রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। রাতে আরও ৪৫০ রোহিঙ্গা রওনা হবেন। ভাসানচরে উন্নত জীবনযাপনের কথা শুনে আগ্রহ বেড়েছে রোহিঙ্গাদের।’’
কক্সবাজার ক্যাম্পে চরম যানজট নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মুখে এবং যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাংলাদেশ পর্যায়ক্রমে ১ লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করছে। শরণার্থীদের দ্রুত প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার জন্যও প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু হলে পরের কয়েক মাসে অন্তত আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। এর আগে আসেন আরও কয়েক লাখ।
বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।
এরই মধ্যে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেওয়ার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প নেয় সরকার। আশ্রয়ণ-৩ নামে প্রকল্পটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়।