ক্রিকেটীয় শক্তির দিক থেকে শ্রীলংকা এবং নামিবিয়ার মধ্যে তুলনাই হয় না। বর্তমান সময়ে শ্রীলংকা কিছুটা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে সময় পার করলেও নামিবিয়ার কাছে তারা হেরে যাওয়ার মতো দল না মোটেও। তবে পুঁচকে নামিবিয়ার কাছে ৫৫ রানে হেরেই আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের সূচনা হয়েছে লঙ্কানদের।
রবিবার (১৬ অক্টোবর) অস্ট্রেলিয়ার গিলংয়ের কার্ডিনিয়া ওভালে ম্যাচের আগেই দিলশান মাদুশাঙ্কাকে হারায় শ্রীলংকা। পরবর্তীতে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলংকা। শুরুর ছয় ওভারের পাওয়ারপ্লেতেই নামিবিয়ার তিন উইকেট তুলে নিয়ে শুরুটাও দারুণ করে লঙ্কানরা। এরপর অধিনায়ক গেরহার্ড ইরাসমাস এবং স্টেফান বার্ডের ৪১ বলে ৪৩ রানের জুটিতে বিপদ সামাল দেয় নামিবিয়া।
তবে ইরাসমাস, বার্ড আর ডেভিড ভিসার উইকেট হারিয়ে আবারও চাপে পড়ে নামিবিয়া। তবে সপ্তম উইকেটে মাত্র ৩৩ বলে ৬৯ রান করেন ইয়ান ফ্রাইলিঙ্ক আর ইয়োহাম্ন স্মিট। শেষ চার ওভারে ৫৭ রান তুলে ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৬৩ রান সংগ্রহ করে নামিবিয়া। ফ্রাইলিঙ্ক ২৮ বলে ৪৪ রান করে ফিরে গেলেও ১৬ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন স্মিট।
জয়ের জন্য ১৬৪ রানের লক্ষ্যে নেমে পাওয়ারপ্লেতে শ্রীলংকার শুরুটাও ভালো হয়নি। চতুর্থ ওভার শেষের আগেই দলীয় ২১ রানে কুশাল মেন্ডিস, পাথুম নিসাঙ্কা ও দানুশকা গুনাথিলাকাকে হারায় এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়নরা। মিডল অর্ডারে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, ভানুকা রাজাপাকশে ও অধিনায়ক দাসুন শানাকা ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করলেও তাতে সফল হননি।
রাজাপাকশে ২১ বলে ২০ এবং শানাকা ২৩ বলে ২৯ রান করেন। পঞ্চম উইকেটে তাদের ৩৪ রানের জুটিতেই শ্রীলংকার স্কোর তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছায়। তবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো লঙ্কানরা এক অভার বাকি থাকতেই ১০০৮ রানে অলআউট হয়। নামিবিয়ান বোলারদের মধ্যে ডেভিড উইজে, বের্নার্ড স্কল্টজ, বেন শিকোঙ্গো এবং জ্যান ফ্রাইলিঙ্ক দুটি করে উইকেট নেন।