একদিনের ব্যবধানে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। শুক্রবার ভোরে নিজেদের পূর্ব জলসীমার দিকে স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি ছুড়েছে দেশটি। এর মধ্যে দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়া নিজেদের সীমান্ত এলাকায় পাল্টাপাল্টি যুদ্ধ বিমান উড়ানোয় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ (জেসিএস) বলেন, ১টা ৪৯ মিনিটে পিয়ংইয়ং থেকে স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া তার নজরদারি বাড়িয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক প্রস্তুতি অব্যাহত রেখেছে। বুধবার জোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় কিম জং উনের দেশটি। রয়টার্স জানিয়েছে, চলতি বছরের ৪১তম ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উ. কোরিয়া।
এ পরিস্থিতিতেই বৃহস্পতিবার রাতে নিজেদের সীমান্তের কাছে যুদ্ধবিমান উড্ডয়ন করে উ. কোরিয়া। বিমানগুলো আন্তঃকোরীয় সীমান্তের ১২ কিলোমিটার উত্তরে উড়ানো হয়। জবাবে সীমান্তে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান উড্ডয়ন করে সিউল। সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য পিয়ংইয়ংকে দায়ী করে নিন্দা জানিয়েছে দ. কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ। ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ও বিমান উড়ানোকে ২০১৮ সালের দ্বিপাক্ষিক সামরিক চুক্তির লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে দেশটি।
এদিকে উত্তরের সবশেষ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের নিন্দা জানিয়েছেন জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা।
মার্কিন ও দক্ষিণ কোরীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়ে আসছেন, ২০১৭ সালের পর প্রথমবার একটি পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে পারে পিয়ংইয়ং। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দেশটি প্রথমে ছোট আকারের একটি ট্যাকটিক্যাল অস্ত্রের বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। যা দেশটির পরীক্ষা করা ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম।
যে কোনও ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোয় উ.কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও অব্যাহত রেখেছে দেশটির সরকার। এ নিয়ে বার বার উদ্বেগ জানিয়ে আসছে প্রতিবেশি দেশ জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া।
সূত্র: আল জাজিরা, রয়টার্স