ইউক্রেন যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করলে রাশিয়াকে ‘গুরুতর পরিণতি’র মুখোমুখি হতে হবে। বৃহস্পতিবার এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ন্যাটো প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের দুই দিনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সংস্থাটির মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ। এ সময় তিনি বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্রের যে কোনও ব্যবহার মৌলিকভাবে সংঘর্ষের প্রকৃতিকে পরিবর্তন করবে এবং এর পরিণতি হবে মারাত্মক।’
জেন্স স্টোলটেনবার্গ বলেন, ‘বিপজ্জনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বাগাড়ম্বর সত্ত্বেও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এটা জানেন যে, এ ধরনের ঘটনায় ন্যাটোর কাছ থেকে তাকে গুরুতর পরিণতির মুখে পড়তে হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রাশিয়া একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রকে দুনিয়ার মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে পারবে না। ইউক্রেনে আগ্রাসনকে পশ্চিমা দুনিয়ার বিরুদ্ধে রাশিয়ার ক্রুসেড হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। তিনি বলেন, পুতিন ও তার ঘনিষ্ঠরা একটি বিষয় স্পষ্ট করেছেন। সেটি হচ্ছে, এই যুদ্ধ শুধু ইউক্রেন নিয়ে নয়। তারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে একটি বৃহৎ ক্রুসেডের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে। এটি হচ্ছে মুক্ত গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ক্রুসেড, আইনের শাসনের বিরুদ্ধে ক্রুসেড, স্বাধীনতা ও উন্নয়নের বিরুদ্ধে ক্রুসেড। আমাদের জীবনপন্থার বিরুদ্ধে ক্রুসেড, সমন্বিত পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে ক্রসেড।
ওদিকে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের প্রচেষ্টার পরিণতি সম্পর্কে আবারও সতর্ক করেছে রাশিয়া। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন রুশ ফেডারেশনের নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি সেক্রেটারি আলেকজান্ডার ভেনেডিক্টভ। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত করলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, পুতিনের দিক থেকে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হলে রুশ বাহিনীকে ‘নিশ্চিহ্ন’ করে দেওয়া হবে।