বাংলাদেশ সীমান্তে অবৈধভাবে প্রবেশ করে এক বাংলাদেশি কৃষককে পিটিয়ে দুই হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যদের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শিংনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত কৃষকের নাম এসলাম আলী (৭০)। তিনি উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের শিংনগর মোড়ল পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি দিয়েছে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এছাড়াও ১৩ অক্টোবর বিজিবি এবং বিএসএফ’র মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ভবিষ্যতে যাতে সীমান্তে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে বিএসএফকে সতর্ক করেছে বিজিবি।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, ১২ অক্টোবর দুপুর ২টার দিকে নিজের পাটক্ষেতে কাজ করছিলেন কৃষক এসলাম আলী। তখন দৌলতপুর ক্যাম্পের ৬-৭ জন বিএসএফ সদস্য বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে রাইফেল এবং লাঠি দিয়ে পিটিয়ে কৃষকের দুই হাত ভেঙে দেয়। পড়ে স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে মনাকষা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) সেরাজুল ইসলাম বলেন, “বিএসএফ প্রায়ই বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে কৃষকদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার কৃষক এসলামের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। একজন বৃদ্ধ মানুষকে অন্যায়ভাবে মেরে দুই হাত ভেঙে দিয়েছে।”
শিবগঞ্জ থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহমেদ বলেন, “নির্যাতনের বিষয়টি শুনেছি। বিজিবি সদস্যরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।”
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, “আহত কৃষকের পরিবারের মাধ্যমে বিষয়টি বিজিবি জানতে পেরেছে। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বিজিবি সদস্যরা। সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “বিএসএফকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। সকালে সীমান্তে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়। পাশাপাশি সীমান্তে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।”
বিএসএফ এ ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।