জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটাভুটিতে বিপরীতমুখী অবস্থান নিলো ভারত ও বাংলাদেশ। ঢাকা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিলেও ভোটদানে বিরত থেকেছে দিল্লি।
গণভোটের পর রাশিয়া ইউক্রেনের যে চারটি রুশভাষী অঞ্চলকে নিজেদের এলাকা বলে ঘোষণা দিয়েছে, সেগুলোর বিষয়েই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটি ছিল। সেখানেই বাংলাদেশসহ ১৪৩টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেয়। মাত্র পাঁচটি দেশ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ও রাশিয়ার পক্ষে ভোট দেয়। ভারত, চীন, পাকিস্তানসহ ৩৫টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল।
একদিন আগেই রাশিয়া প্রস্তাব করেছিল, এই ভোট গোপন ব্যালটে হোক। তখন ভারত রাশিয়ার প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। কিন্তু মূল প্রস্তাব নিয়ে যখন ভোটাভুটি হলো, তখন তারা ভোটদানে বিরত থাকল।
রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর থেকে জাতিসংঘে মোট চারবার তাদের বিরুদ্ধে নিন্দাপ্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। তার মধ্যে শেষ প্রস্তাবেই সবচেয়ে বেশি ভোট বিপক্ষে পড়েছে।
রাশিয়া চেয়েছিল, এই ভোটাভুটি গোপন ব্যালটে হোক। তাদের যুক্তি ছিল, খোলাখুলি ভোট হলে অনেক দেশই তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে দ্বিধাবোধ করবে। কিন্তু তাদের সেই প্রস্তাব ভোটাভুটিতে খারিজ হয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো ভোটাভুটির আগ পর্যন্ত ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টায় ফল হয়নি। দুই দেশই ভোটদানে বিরত ছিল।
এর আগে গত মার্চে বাংলাদেশ, ইরাক ও সেনেগাল জাতিসংঘের নিন্দাপ্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল। কিন্তু এবার তিন দেশই রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিলো।
জাতিসংঘের সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলিতে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন ইউক্রেনের সীমানার কোনো পরিবর্তনকে স্বীকৃতি না দেন। রাশিয়াকে বলা হয়েছে, তারা যেন অবিলম্বে ও নিঃশর্তভাবে এই সব এলাকা থেকে সরে যায়।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত লিন্ডা গ্রিনফিল্ড বলেছেন, কোনো দেশ যেন রাশিয়াকে সমর্থন না করে। তারা যেন এই বার্তা না দেয় যে, প্রতিবেশীর জমি জোর করে দখল করাকে তারা সমর্থন করছেন।
তিনি বলেছেন, আজ এটা রাশিয়া করছে। কাল অন্য কোনো দেশ প্রতিবেশীর সঙ্গে একই কাজ করতে পারে।