ইরানের হিজাববিরোধী বিক্ষোভ: নিহত অন্তত ১০৮

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

গত প্রায় এক মাস ধরে ইরানে চলছে হিজাববিরোধী বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতের জেরে ইরানজুড়ে অন্তত ১০৮ জন নিহত হয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এএফপি।

নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটসের (আইএইচআর) বিবৃতির বরাত দিয়ে বুধবার এএফপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিক্ষোভ কঠোরভাবে দমন করতে আন্দোলনকারীদের হত্যা ও গ্রেপ্তারের পাশাপাশি গত কিছুদিন ধরে স্কুলগামী কিশোর-কিশোরীদেরও আটক করছে নিরাপত্তা বাহিনী।

ঠিকমতো হিজাব না পরা ও গায়ে বোরকা না থাকায় গত ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানী তেহরানে নৈতিকতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ২২ বছরের তরুণী মাশা আমিনি। তারপর পুলিশি হেফাজতে নিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয় তাকে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার চার দিনের মাথায় মৃত্যু হয় মাশা আমিনির।

মাশা’র পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ— নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনের কারণেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি তার মৃত্যুর জন্য নৈতিকতা পুলিশ সদস্যদের দায়ী করেন পরিবারের সদস্যরা।

- বিজ্ঞাপন -

মাশা আমিনিকে আটক করে হেফাজতে নিয়ে যাওয়া নৈতিকতা পুলিশ সদস্যদের অবশ্য ইতোমধ্যে আইনের আওতায় এনেছে ইরানের ইসলামপন্থী সরকার। তবে মাশার মৃত্যু সম্পর্কে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়াই মাশার মৃত্যুর কারণ।

এদিকে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর মাশার মৃত্যুর দিন থেকেই রাজধানী তেহরান ও ইরানের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ কুর্দিস্তানে। তারপর অত্যন্ত দ্রুত দেশটির ছোট বড় প্রায় সব শহরে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ। শুরুর দিকে বিক্ষোভকারীরা ইরানের নৈতিকতা পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিলেও অচিরেই তা সরকারবিরোধী আন্দোলনে মোড় নেয়।

তবে ইরানের ইসলামপন্থী সরকারও সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে এই বিক্ষোভ দমনের। শুরু থেকেই রাজধানী তেহরানসহ সব শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘাত হচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের। সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি-রাবার বুলেট, জলকামানের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্রও ব্যবহার করছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তার ফলেই এত সংখ্যক মানুষ গত ২৬ দিনে নিহত হয়েছেন বলে এএফপিকে জানিয়েছেন ইরান হিউম্যান রাইটসের পরিচালক আমিরি মোকাদ্দেম।

এএফপিকে আমিরি মোকাদ্দেম বলেন, ‘কুর্দিস্তানের রাজধানী সানানদাজ শহরে গত তিন দিন ধরে অভিযান চালাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা। যেহেতু মাশা ও তার পরিবার জাতিগতভাবে কুর্দ, তাই এই প্রদেশে বিক্ষোভের তেজ যেমন বেশি, তেমনি নিরাপত্তা বাহিনীও (এই প্রদেশে) বিশেষভাবে তৎপর।’

‘এছাড়া জনমনে আতঙ্ক তৈরি করতে গত কিছুদিন ধরে স্কুলগামী কিশোর-কিশোরীদেরও আটক করে নিয়ে যাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। দেশজুড়েই এমন হচ্ছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।’

- বিজ্ঞাপন -

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত— নিরাপত্তা বাহিনীর নিষ্ঠুরতা বন্ধে শিগগিরই কোনো পদক্ষেপ নেওয়া। তা না হলে পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।’

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!