১১ অক্টোবর ২০২২, ঢাকা: সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্টের “প্রমোশন অব সেইফ স্ট্রিট ফুড ম্যানেজমেন্ট প্র্যাকটিসেস” প্রকল্পের একটি কর্মশালা আজ পদক্ষেপ ইন্সটিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট-এ অনুষ্ঠিত হয়।
পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র-এর নির্বাহী পরিচালক জনাব মোঃ সালেহ বিন সামস্-এর সভাপতিত্বে এবং জনাব আয়শা সিদ্দীকা, প্রজেক্ট ম্যানেজারের সঞ্চালনায় কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। জনাব মো: রিসালাত সিদ্দীক, পরিচালক, পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র, প্রমোশন অব সেইফ স্ট্রিট ফুড ম্যানেজমেন্ট প্রাকটিসেস উপ-প্রকল্পের উদ্দেশ্য এবং কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন।
ইতিমধ্যে প্রকল্পের যে সকল কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে এবং এর ফলে স্ট্রিট ফুড ও রেস্টুরেন্টে যে ধরণের পরিবর্তন হয়েছে সে সম্পর্কে এবং প্রকল্পের শিক্ষণীয় দিক সম্পর্কে উপস্থাপন করেন জনাব মো: মনিরুজ্জামান সিদ্দীক, উপ-পরিচালক (প্রোগ্রাম উইং) পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো: রেজাউল করিম, যুগ্ম সচিব ও সদস্য (খাদ্যভোগ ও ভোক্তা অধিকার), বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। তিনি পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, যথাযথ স্বাস্থবিধি, খাদ্য উৎপাদন চেইনের সকল ধাপের যথাযথ ব্যবহার বিধি মেনে একটি নিরাপদ খাবার ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেয়ার পরার্মশ দেন। তিনি আরো বলেন একটি উন্নত দেশ গড়তে হলে আমাদের সুস্থ মানব জাতি প্রয়োজন। এর জন্য প্রয়োজন নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্যে আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে এবং সচেতনতা, কৌশল, সকলের সহযোগিতা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবেশকে সঠিক উপায়ে ব্যবহার করতে হবে। খাবার নিয়ে যারা কাজ করছে ও সাপ্লাই দিচ্ছে সবাই যেন সঠিক ও নিরাপদ কাঁচামাল পায় সেই দিকেও নজরদারীর ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়ার ব্যাপারটি তুলে ধরেন তিনি।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো: মনজুর মোর্শেদ আহমেদ, সদস্য (জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি), বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, রাষ্ট্রকে নিরাপদ পণ্য দিতে হবে তাহলেই নিরাপদ খাবার পাওয়া সম্ভব। আমরা যদি সরকারি-বেসরকারি সকল পর্যায় থেকে একই সাথে কাজ করি তাহলে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে এবং ভালো প্র্যাকটিসগুলো থেকে যাবে।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মো: ইউসুফ আলী, উপ-পরিচালক (প্রশাসন), পরিবেশ অধিদপ্তর। তিনি বলেন যে, কর্ম-ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় সকলেই বাইরের খাবারের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। আমাদের দেশের রেস্টুরেন্টের খাবারের মান যদি ভালো করা হয় তাহলে এই ব্যবসায় সকলেই অনেক লাভবান হবে। বাংলাদেশে ৫০টি জেলায় পরিবেশ অধিদপ্তর রয়েছে। এবং এ অধিদপ্তরগুলো সকলকে বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন ব্যবহারে উৎসাহিত করে থাকে।