ইউক্রেনে যুদ্ধ জয়ে মরিয়া রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের ছয়টি শহরে পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করতে পারেন। ইউক্রেন যুদ্ধে যদি পরাজয় অবশ্যম্বাভাবী হয়ে পড়ে তখন এই অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন পুতিন। পারমাণবিক যুদ্ধ বিষয়ে এক বিশেষজ্ঞ এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। মার্কিন সাময়িকী নিউজউইক এখবর জানিয়েছে।
ইউক্রেনে চলমান সংঘাতে বেশ কয়েকটি রণক্ষেত্র থেকে পিছু হটেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী অগ্রসর হচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসনের দিকে। সেপ্টেম্বরে খারকিভ থেকে রুশ সেনাদের পিছু হটতে বাধ্য করেছে তারা।
এই ব্যর্থতাগুলোর পর আশঙ্কা ছড়িয়েছে ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সতর্ক করে বলেছেন, ১৯৬২ সালের কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর সর্বোচ্চ অবস্থায় রয়েছে পারমাণবিক উত্তেজনা।
ওয়েবার স্টেট ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের অধ্যাপক ও পারমাণবিক যুদ্ধ বিশেষজ্ঞ এরিক জি. সুইডিন নিউজউইককে বলেছেন, তিনি মনে করেন না রণক্ষেত্রে ট্যাকটিক্যাল পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করবেন পুতিন কিংবা ইউক্রেন ও পশ্চিমাকে নতজানু করতে পারমাণবিক হামলা চালাবেন। বরং তিনি মনে করেন, পুতিন সরাসরি গুরুত্বপূর্ণ ইউক্রেনীয় শহরে পারমাণবিক হামলা চালাতে পারেন।
এরিক জি. সুইডিন বলেন, ইউক্রেনে রুশ সেনাবাহিনীর পরাজয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়বেন পুতিন। যুদ্ধের ফল বদলাতে মরিয়া হয়ে তিনি সহজে ট্যাকটিক্যাল পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন।
তিনি বলেন, আমার সন্দেহ হলো অনেকে যেমন বলছেন প্রতীকী হামলা তেমনটি হবে ন। রণক্ষেত্রে ট্যাকটিক্যাল পারমাণবিক অস্ত্র কঠিন এবং এজন্য উচ্চ মানের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেনা প্রয়োজন হয়। এমন হামলা চালানোর মতো অবস্থায় নেই রাশিয়া। সম্ভাব্য পরিস্থিতি হতে পারে পশ্চিম ইউক্রেনের ৬টি শহরে এই অস্ত্র ব্যবহার। এই হামলায় পোল্যান্ড বা রোমানিয়া থেকে ইউক্রেনের অস্ত্র সরবরাহের রুট ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, ট্যাকটিক্যাল পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ফলে ইউক্রেন সম্ভবত আত্মসমর্পণ করবে না। যা পুতিনকে আরও বেশি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের দিকে নিয়ে যেতে পারে।