পারমাণবিক যুদ্ধ নিয়ে নিজ দেশের অবস্থান স্পষ্ট করেছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পারমাণবিক যুদ্ধ এড়ানোর ব্যাপারে মস্কো ‘পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
এক ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন রুশ পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। তিনি বলেন, রাশিয়া কখনও পারমাণবিক যুদ্ধের অনুমতি না দেওয়ার নীতির প্রতি ‘সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ এ ব্যাপারে মস্কোর অবস্থানের কোনও পরিবর্তন হয়নি।
এমন সময়ে মারিয়া জাখারোভা পারমাণবিক যুদ্ধ এড়াতে রাশিয়ার অঙ্গীকারের কথা বললেন যার কদিন আগেই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে ‘ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি’র কথা জানান ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
তিনি বলেন, ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে আবেগের বদলে বরং ‘ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি’ চায় রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের যে আহ্বান জানিয়েছেন সেটি নিয়েও কথা বলেন দিমিত্রি পেসকভ। তিনি বলেন, মতামত দেওয়ার অধিকার চেচেন নেতার রয়েছে। কিন্তু রাশিয়ার সেনাবাহিনীর দৃষ্টিভঙ্গি আবেগতাড়িত হওয়া উচিত হবে না। কঠিন মুহূর্তেও যেকোনও পর্যালোচনায় আবেগকে দূরে সরিয়ে রাখা উচিত। আমরা ভারসাম্যপূর্ণ ও বস্তুনিষ্ঠ মূল্যায়নের পক্ষপাতী।
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর পুতিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘দেশের অখণ্ডতা হুমকির মধ্যে পড়লে রাশিয়া এবং এর জনগণকে রক্ষার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নেবো। যারা পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে আমাদের ব্ল্যাকমেইল করতে চায়, তাদের জানা উচিত যে, পাল্টা বাতাস তাদের দিকেও যেতে পারে। ব্ল্যাকমেইল অব্যাহত থাকলে মস্কো তার বিশাল অস্ত্রাগারের শক্তি নিয়ে জবাব দেবে।’ পুতিনের এই বক্তব্যকে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে পশ্চিমারা। এর এমন হুমকিকে ‘গুরুত্বের সঙ্গে’ নেওয়ার কথা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার পারমাণবিক যুদ্ধ এড়ানোর প্রতিশ্রুতির কথা জানালো মস্কো।