টানা সরকারি ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভিড় করেছেন অজস্র পর্যটক। চাপ সামলাতে হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টে অগ্রিম রুম বুকিং বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশের সরকারি ছুটির তালিকা বিশ্লেষণে জানা যায়, গত ১ অক্টোবর থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ ছুটি চলবে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত। এরমধ্যে দুর্গাপূজা, ঈদে মিলাদুন্নবী ও প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে সরকারি অফিস-আদালতও একই সময়ে ছুটি রয়েছে। বুধবার (৫ অক্টোবর) ছিল সরকারি ছুটি। বৃহস্পতিবার অফিস খোলা থাকলেও রবিবারও সরকারি ছুটি রয়েছে। এতে সাপ্তাহিক ছুটিসহ বৃহস্পতিবার ছাড়া একটানা পাঁচ দিনের ছুটি পাচ্ছেন বেশিরভাগ কর্মজীবী।
টানা এই ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমিয়েছেন অনেকেই। বৃহস্পতিবার সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পর্যন্ত অন্তত ২ লাখ মানুষের সমাগম হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এই ছুটিতে কক্সবাজারে ৫ লাখ লোকের সমাগম হবে বলে আশা করছেন।
কক্সবাজারের ব্যবসায়ীদের ধারণা, সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভ্যাল উপলক্ষে থাকা-খাওয়ায় ছাড় দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে প্রচার হয়েছে। এতে এই ১০ দিনে পর্যটন শহর কক্সবাজারে ৫ লাখেরও বেশি পর্যটক সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সমুদ্র সৈকত ছাড়াও মেরিন ড্রাইভ ধরে ইনানি, হিমছড়ি ও দরিয়ানগর সৈকতেও ভিড় করছেন পর্যটকরা। এছাড়া রামু বৌদ্ধ বিহার, চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক ও নিভৃতে নিসর্গ এবং শৈলদ্বীপ মহেশখালীতেও পর্যটক সমাগম হয়েছে।
কক্সবাজার বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক রায়হান উদ্দিন ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের বাড়তি বিনোদনের জন্য আরও নতুন চিন্তাভাবনা চলছে। এসব পদক্ষেপ কার্যকর হলে পর্যটক আরও বাড়বে।”
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার চৌধুরী মিজানুজ্জামান বলেন, “পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক মাঠে রয়েছে। অতিরিক্ত টহল বাড়ানো হয়েছে।”