এক
চিঠি পাঠিয়েছি। উত্তর আসেনি।
মাঠটা রয়ে গেছে একলাই।
নিঃসন্দেহের নক্ষত্র যাপনে আমরা কেউ একা একজন নই।
যত বয়স যাচ্ছে তত মেঘ হয়ে যাচ্ছি।
বৃষ্টি হতে চাইছি, কিন্তু মাটি দিচ্ছে না, কেউই।
নায়িকা অচেনা।
দুই
সময় যাযাবর।
শব্দের ইচ্ছে।
জীবন রুমালি রুটি।
শ্রদ্ধার রান্নাঘরে তৈরি হচ্ছে যন্ত্রণার শ্রুতিদগ্ধ কবিতা।
তিন
জীবন হাওয়া খেতে গেছে।
স্থাপত্যের সৌকর্য্যে বাসা বাঁধছে সময়ের মিথ্যে চড়ুইপাখি।
চার
আমি ফ্যান গালতে চেষ্টা করছি।
যন্ত্রণার বাসর ঘরে মোমোর ছৌ নাচের ধুম।
তুমি চলে গেছ ট্রেন ধরবে বলে।
পাঁচ
আমি চিন্তার চায়ে চিনি ঢালছি।
কাপের নুনটা একটু কম পড়ে গেছে।
আজ আর গানটা ভালো জমবে না।
ঘুম থেকে উঠেছি সেই কোন সকালে!
স্মৃতির বাজার করেছি, বই গুছিয়েছি, বাসন সাজিয়েছি, এখন আঁচে চুলো ধরাব।
ঘড়িতে অনেক বাহানা।
কাজপত্র অনেক বাকি এখনো।
পথে হাঁটা সবে শুরু।
শুধু শূন্যে আটকে গেলে চলবে না।
ঘুমাতে আর দেরি করব না।
সবাই বসে গেছে। উঠব।
চিন্তার জয় হোক।
চিন্তা খেয়ে-পরে বাঁচুক।
না হয় আমি…
অপেক্ষা করব তোর জন্য,
না, ভুল বুঝতে আর ভুল হবে না।
গাড়ি ছেড়ে দিয়েছে।
প্রজাপতি আলোর সাথে লুকোচুরি গাইছে।
গাইড স্কাউটিংয়ে ব্যস্ত।
চাঁদের গজলে মেহেন্দি হাসান মীড় খেলছেন।
বাহাদুরির বাগানে আকাশ ভেঙে পড়ল বলে।
সাধনার আরেক নাম সুর।
অভ্যাসের সঠিক মানে দীর্ঘদিন ধরে নিরুদ্দেশ।
চলুন একটু ঠাণ্ডা মাথায় ভাবনার নোঙর করি।
রাতটা আরও গরম হোক।
ছয়
পড়লাম কয়েকবার।
আশ মিটলো না ঠিক।
তাইতো বলি এখানে এসে…
ঘোরাঘুরি বেশ ভালোই ছবি আঁকছে।
সেলফির লোভে অসামাজিকতার ভিত গাড়ছে অভ্যাসের কুসংস্কার।
ভিতরটা টাচস্ক্রীনের রোদে বন্দী।
বাইরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির বঙ্গীয় দাম্পত্য আবহাওয়া।
ছাতাটা আনি নি ইচ্ছে করেই
শব্দের পিঠে ব্যাগ
ব্যাগের ভিতর উত্তাপ
চা তৈরি হচ্ছে।
বড়োই নিজস্ব তার ঢঙ।
ট্রেন ছেড়ে দিল।
পাঠক এখনো মেঘের সুগন্ধ পাচ্ছে।
বাতাসে ভ্যাপসা গরম, কবিতায় মাটি,
চাপে পড়ে আছে মন, বিচিত্র সেই তৃষ্ণা।
অক্ষর বাস্তবের খর জমিতে মাদল বাজাচ্ছে।
আমি গান শুনছি।
স্নায়ু স্নান করেও জলে নামছে। আবারও।
শুধুই অনুরণন…