জাপানের ওপর দিয়ে একটি মধ্যম পাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দ্বীপদেশটির অনেক অঞ্চলে সতর্কতা সিস্টেমও চালু করা হয়।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন বলছে, গত পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো এমন ঘটনা ঘটল। জাপান সরকার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঘটনাকে আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বর্ণনা করেছে।
এর আগে ২০১৭ সালেও একবার জাপানের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল কিম জং উন শাসিত দেশটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাপানের একটি সরকারি সূত্রের বরাতে জানা গেছে, উত্তর কোরিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি (হোয়াসং-১২) মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৪৪ মিনিটে জাপানের উপকূল থেকে ৩ হাজার কিলোমিটার (১ হাজার ৮৬০ মাইল) পূর্বে সমুদ্রে পড়েছিল। ক্ষেপণাস্ত্রটির ফ্লাইটের সময়সীমা ছিল ২২ মিনিট।
জাপানের কিয়োডো নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ায় জাপান সরকার মঙ্গলবার সকালে দেশটির উত্তরের প্রধান দ্বীপ হোক্কাইডো এবং উত্তর-পূর্ব আওমোরি প্রিফেকচারের বাসিন্দাদের জন্য এলার্ট সিস্টেম সক্রিয় করে।
এমনকি অঞ্চলগুলোর ট্রেন পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়।
সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘উত্তর কোরিয়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে বলে মনে হচ্ছে। দয়া করে ভবনে ও বেসমেন্টে আশ্রয় নিন।’
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা উত্তর কোরিয়ার কর্মকাণ্ডকে আপত্তিকর বলে অভিহিত করেছেন এবং জানিয়েছেন, সরকার এ-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ চালিয়ে যাবে।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা বলেছেন, উত্তর কোরিয়া থেকে বারবার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মুখে জাপান তার প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার জন্য পাল্টা-আক্রমণ ক্ষমতাও পরীক্ষা করবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল এই ঘটনায় দৃঢ় প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। ইউন জানান, ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ বলেছে, পিয়ং ইয়ংয়ের উসকানি কেবল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতাই জোরদার করবে।