ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার অনুমোদন দিয়েছে রুশ পার্লামেন্ট। সোমবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ দুমায় কণ্ঠভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনীয় অঞ্চলগুলোকে রাশিয়ার সঙ্গে একীভূতকরণের ঘটনাকে আইনি বৈধতা দেন তারা।
ভোটাভুটির সময় দুমার কোনও সদস্য হাউজে অনুপস্থিত ছিলেন না। ভোটদান থেকেও কেউ বিরত ছিলেন না।
অঞ্চল চারটি হচ্ছে ইউক্রেনের ডনেস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিজ্জিয়া। সম্প্রতি কথিত এক গণভোটে বিজয় দাবি করে এই অঞ্চলগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সোমবার পার্লামেন্ট ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে সংযুক্তিকরণের অনুমোদন দেওয়ায় অঞ্চলগুলোর প্রতিনিধিদের অভিনন্দন জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। তিনি জানান, মঙ্গলবার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ফেডারেল কাউন্সিলে বিলটি তোলা হবে। সেখানেও এটি সর্বসম্মতভাবে পাস হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এদিকে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে ইউক্রেনের সদস্যপদ নিয়ে মুখ খুলেছে জোটের ৯টি সদস্য রাষ্ট্র। এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিয়ে কথা বলেছেন মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের এই দেশগুলোর প্রেসিডেন্টরা। ন্যাটোতে ইউক্রেনের সদস্যসদকে সমর্থন জানানোর পাশাপাশি আগ্রাসন মোকাবিলায় কিয়েভের প্রতি সামরিক সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানান তারা।
যে ৯টি দেশের প্রেসিডেন্টরা এই বিবৃতি দিয়েছেন সেই দেশগুলো হচ্ছে চেক প্রজাতন্ত্র, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, উত্তর মেসিডোনিয়া, মন্টিনিগ্রো, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও রোমানিয়া। দেশগুলোর নেতারা বলছেন, ন্যাটোতে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ সদস্যপদ সংক্রান্ত ২০০৮ সালের বুখারেস্ট সম্মেলনের সিদ্ধান্তের প্রতি তাদের জোরালো সমর্থন রয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার প্রতি আমাদের সমর্থন রয়েছে।’ অবিলম্বে সমস্ত অধিকৃত অঞ্চল থেকে রুশ বাহিনী প্রত্যাহার এবং সব মিত্রদেরকে ইউক্রেনে তাদের সামরিক সহায়তা যথেষ্ট পরিমাণে বাড়ানোর আহ্বান জানান ৯ প্রেসিডেন্ট।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই দেশগুলোর নেতারা ‘যুদ্ধ চলাকালে কিয়েভ পরিদর্শন করেছেন এবং রুশ আগ্রাসনের প্রভাব স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছেন।’ ৯ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি আমাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছি। দেশটির কোনও ভূখণ্ডকে সংযুক্ত করার রুশ প্রচেষ্টাকে আমরা স্বীকৃতি দেই না এবং এই স্বীকৃতি দেওয়া হবে না।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি, আল জাজিরা।